নয়াদিল্লি: ট্যুইটার কিনে তিনি বিপাকে পড়েছেন বলে খবর আসছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। এমনকি ধনকুবেরের তালিকায় তাঁর নিচে নেমে যাওয়ার জন্যও ট্যুইটার চুক্তিকেই দায়ী করেছিলেন অনেকে। ট্যুইটার কিনে যে শাপে বর হয়নি, তা এ বার কার্যত মেনে নিলেন টেসলা কর্ণধার ইলন মাস্কও (Elon Musk)। ট্যুইটারকে অলাভজনক সংস্থা অর্থাৎ কার্যত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (World's Largest Non-Profit) বলে ঘোষণা করলেন তিনি।


ট্যুইটার কিনে যে শাপে বর হয়নি, তা এ বার কার্যত মেনে নিলেন টেসলা কর্ণধার


ট্যুইটার (Twitter) কেনার পর থেকেই লাগাতার ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন মাস্ক। এমনকি ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সংস্থায় কর্মী ছাঁটাই থেকে কফি মেশিন পর্যন্ত বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যে বাক্ স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে ট্যুইটার কিনেছিলেন মাস্ক, তাঁর আচরণ সেই প্রতিশ্রুতির পরিপন্থী হলেও উঠছে অভিযোগ। সেই আবহেই ট্যুইটার নিয়ে কার্যত অনুতাপের সুর শোনা গেল মাস্কের গলায়। বুধবার নিজেকেই বিদ্রুপ করে তিনি লিখলেন, ‘আমার সম্পর্কে যা ইচ্ছে, তা বলতেই পারেন। বিশ্বের বৃহত্তম অলাভজনক সংস্থার জন্য ৪৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছি আমি’।



আরও পড়ুন: Air India: মাঝ আকাশে ইঞ্জিন চুঁইয়ে পড়ছিল তেল, ৩০০ যাত্রীসমেত জরুরি অবতরণ এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের


মাইক্রোব্লগিং সাইট ট্যুইটার ব্যবসাক্ষেত্রে অপটু বলে লাগাতার দাবি তুলে আসছিলেন মাস্ক। শেষ মেশ ট্যুইটারের ৯.২ শতাংশ অংশীদারিত্ব তিনি কিনে নেন তিনি। নিজে থেকে প্রস্তাব দিয়েও, ট্যুইটার কেনা নিয়ে একসময় গড়িমসি করতে শুরু করেন মাস্ক। ট্যুইটারের বাজারমূল্য তিনি যতটা আঁচ করেছিলেন, ততটা নয় বলে দাবি করেন। কিন্তু আইনি গেরোয় পড়ে শেষ মেশ ৩ লক্ষ ৩৭ হাজার কোটি টাকায় ট্যুইটার কিনতে হয় তাঁকে।


ট্যুইটারের নিয়ন্ত্রণ হাতে পাওয়ার পর থেকে, এখনও পর্যন্ত মাইক্রোব্লগিং সাইটের বিধিনিয়মে একাধিক পরিবর্তন ঘটিয়েছেন মাস্ক। কিন্তু ট্যুইটার কিনে মাস্ক বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে দাবি অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের দাবি, ট্যুইটার কিনতে যে ১৩০০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিলেন মাস্ক, তাও গলায় চেপে বসেছে তাঁর। তার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে থেকে আপাতত ৩০০ কোটি ডলার জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে তাঁর সংস্থা।


ট্যুইটার কিনতে ১৩০০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিলেন মাস্ক


মর্গ্যান স্ট্যানলি, ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকা কর্প-সহ একাধিক ব্যাঙ্ক থেকে ট্যুইটার কিনতে ১৩০০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিলেন মাস্ক। সেই ঋণই এখন তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে মাস্ককে। মাস্ক ট্যুইটার নিয়ে মাথা ঘামাতে গিয়ে টেসলার ব্যবসাতেও নেমেছে ধস। সেই আবহেই ট্যুইটারকে ‘অলাভজনক সংস্থা’ বলে উল্লেখ করলেন মাস্ক।