Stock Market Scam Exposed: ভারতের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া ওরফে সেবি সম্প্রতি ইকুইটি ডিলার শচীন বকুল ডগলি এবং আরও অন্যান্য ৮টি সংস্থার সঙ্গে একত্রে পিএনবি মেটলাইফ ইন্ডিয়া ইনসিওরেন্স সংস্থার একটি ফ্রন্ট রানিং (Front Running Case) মামলা প্রকাশ্যে এনেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে এই সমস্ত সংস্থাগুলি বাজার থেকে বেআইনিভাবে ২১ কোটি টাকার মুনাফা (SEBI Ban) অর্জন করেছে। সেবি বলেছে, ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই ফ্রন্ট রানিং চলে আসছে। সেবি শুক্রবার একটি অন্তর্বর্তী নির্দেশ জারি করে শচীন বকুল ডগলি সহ অন্য ৮ সংস্থাকে সিকিউরিটিজ বাজার থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। অবৈধ উপায়ে অর্জিত মুনাফা বাজেয়াপ্ত করেছে।
সেবির তদন্তে কী উঠে এসেছে
সেবি তদন্ত করে দেখেছে যে পিএনবি মেটলাইফ ইন্ডিয়া ইনসিওরেন্স লিমিটেড সংস্থা আরও কিছু সংস্থার সঙ্গে একত্রে কিছু সন্দেহজনক লেনদেন করেছে। এই সংস্থাগুলি কি ডিলার এবং ফান্ড ম্যানেজারদের সহায়তায় বড় বড় ক্লায়েন্টদের ব্যবসার সুবিধে নিয়েছে, এটাই তদন্ত করেছে সেবি। PFUTP আইন লঙ্ঘন করেছে কিনা সংস্থা তা যাচাই করেছে সেবি। ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত মেয়াদের মধ্যে এই তদন্ত চলেছে। জানা গিয়েছে পিএনবি মেটলাইফের বেশিরভাগ ব্যবসায় জড়িয়ে ছিলেন শচীন ডগলি।
গোপন তথ্যের অপব্যবহার
সেবি জানিয়েছে যে শচীন বকুল ডগলি আর তাঁর ভাই তেজস ডগলি পিএনবি মেটলাইফের প্রাতিষ্ঠানিক ক্লায়েন্টদের ট্রেড অর্ডার সম্পর্কে গোপন তথ্য পেয়েছিলেন। আর এই গোপন তথ্য তারা জানিয়েছিলেন সন্দীপ শম্ভভরকে যিনি ধানমাতা রিয়েলটি প্রাইভেট লিমিটেডকে এই তথ্য দিয়েছিলেন।
তিন বছর ধরে চলতে থাকে যাচাই প্রক্রিয়া
সেবি উল্লেখ করেছে যে ডিআরপিএল, ডব্লিউডিপিএল এবং প্রজ্ঞেশ সাংভির মাধ্যমে মোট ৬৭৬৬টি ফ্রন্ট রানিং ট্রেড করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় মোট ২১.১৫ কোটি টাকা অবৈধ মুনাফা অর্জিত হয়েছে। তিন বছর ধরে এই যাচাই চলেছে।
( মনে রাখবেন : এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, বাজারে বিনিয়োগ করা ঝুঁকি সাপেক্ষ। বিনিয়োগকারী হিসাবে অর্থ বিনিয়োগ করার আগে সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন। ABPLive.com কখনও কাউকে এখানে অর্থ বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেয় না। এখানে কেবল শিক্ষার উদ্দেশ্যে এই শেয়ার মার্কেট সম্পর্কিত খবর দেওয়া হয়। কোনও শেয়ার সম্পর্কে আমরা কল বা টিপ দিই না।)