Cyber Fraud: ইউটিউবে কিছু শেখানোর নামে আপনার ডিভাইসে ঢোকানো হচ্ছে ভাইরাস। পরে সেই ভাইরাস দিয়েই আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তল পাচ্ছেন প্রতারকরা। এখনই সাবধান না হলে ফাঁকা হতে পারে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।


YouTube Fraud: ইউটিউবকে সামনে রেখে চলছে জালিয়াতি
আজকাল সফটওয়্যার বা গ্যাজেট চালাতে না জানলেই ইউটিউবের দ্বারস্থ হই আমরা। বেশিরভাগ লোকজনই এখন ইউটিউবের মাধ্যমে কোনও বিষয় বুঝে নিতে চান। গ্রাহকদের ইউটিউবের প্রতি এই আস্থাকেই কাজে লাগাচ্ছে প্রতারকরা। আপনিও যদি ইউটিউবে প্রচুর টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখে থাকেন, তাহলে এখনই সতর্ক হোন। কারণ হ্যাকাররা এই ভিডিওগুলির অছিলায় আপনার ডিভাইসে ম্যালওয়্যার ইনস্টল করছে। জেনে নিন, জাল বিছিয়েছে প্রতারকরা।


Hacking News: কারা সামনে এনেছে এই জালিয়াতি 
সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম ক্লাউডসেকের গবেষকরা জানিয়েছে, ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে প্রতারণার সংখ্যা ২০০ থেকে ৩০০ শতাংশ বেড়েছে। হ্যাকাররা এই ভিডিওগুলির মাধ্যমে মানুষের সিস্টেমে ভিদার, রেডলাইন ও র‍্যাকুন-এর মতো ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস ইনস্টল করছে।


YouTube Fraud: কীভাবে ইউটিউবের মাধ্যমে হয় এই জালিয়াতি ?
আপনি যখন একটি টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখেন ,তখন আপনাকে নিচের বিবরণে সেই অ্যাপ বা সফ্টওয়্যারটির একটি লিঙ্ক দেওয়া হয়। যাতে আপনি সহজেই এটি ডাউনলোড করতে পারেন। এই লিঙ্কগুলিতে হ্যাকাররা ম্যালওয়্যার লুকিয়ে রাখে যা আপনার সিস্টেমে ইনস্টল হয়ে যায়।


তারপরে তারা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যেমন ব্যাঙ্কের বিবরণ ইত্যাদি চুরি করে। বিশেষ করে এই ভিডিওগুলির মাধ্যমে কোনও সফ্টওয়্যার বা অ্যাপের ক্র্যাক সংস্করণ খোঁজে ব্যবহারকারীরা। কিছু লোক আসল সফটওয়্যারের দাম বেশি হওয়ায়, তা কিনতে চান না। সেই ক্ষেত্রে তারা ইউটিউব থেকে সফ্টওয়্যারটির ক্র্যাকড সংস্করণ ডাউনলোড করার উপায় খোঁজেন। কৌতূহলীদের এই আগ্রহকেই কাজে লাগায় ঠগবাজরা। এখান থেকেই জালিয়াতি শুরু হয়।


Cyber Fraud: কীভাবে হ্যাকারদের হাতে চলে যায় আপানার ডিভাইস ?
প্রথমে ভিডিওটিতে আপনাকে বলা হয়, নিচের লিঙ্ক থেকে সরাসরি অ্যাপ বা সফ্টওয়্যারটি ডাউনলোড করতে পারবেন আপনি। এই লিঙ্কের মাধ্যমে আগ্রহীরা সফ্টওয়্যার ডাউনলোড করার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সিস্টেম হ্যাকারদের হাতে চলে যায়। তারপরে তারা তথ্য চুরি শুরু করে। গবেষণায় আরও জানা গেছে, প্রতি ঘণ্টায় ইউটিউবে ৫ থেকে ১০টি ক্র্যাক সফটওয়্যার ভিডিও আপলোড করা হয়, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা এই ফাঁদে পা দেন। ইউটিউবের অ্যালগরিদমও এই ধরনের ভিডিও সহজে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় না।


YouTube Fraud: এই ক্ষেত্রে কী করবেন ?
 আপনি যেকোনও সফ্টওয়্যার বা পরিষেবার অফিসিয়াল সংস্করণ ব্যবহার করুন৷ আপনি যদি কোনও ওয়েবসাইট বা তৃতীয় পক্ষ থেকে আপনার সিস্টেমে ক্র্যাক সংস্করণ পান, তবে আপনি প্রতারণার শিকার হতে পারেন। ডিজিটাল যুগে নিজেকে ও আপনার ডেটা রক্ষা করার একমাত্র উপায় হল ইন্টারনেটকে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যবহার করা।


আরও পড়ুন : Pre-Installed Apps: স্মার্টফোনে প্রি-ইনস্টল অ্যাপে ঝুঁকি ! সরকার নিতে পারে এই পদক্ষেপ