Nathan Anderson: ২০২৩ সালের পর ফের নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে হিন্ডেনবার্গের রিসার্চ রিপোর্ট। শনিবার রাতে হিন্ডেনবার্গের নতুন রিপোর্টে এবার আদানি গ্রুপের সঙ্গে সেবির চেয়ারপার্সন মাধবী পুরি বুচের যোগসাজশের (Hindenburg Research) দিকে অভিযোগ তোলা হয়েছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে সেবির চেয়ারপার্সন এবং তাঁর স্বামী ধবল বুচ আদানির ফোরশোর ফান্ডের স্টেক হোল্ডার আর এই ফান্ডের মাধ্যমেই আর্থিক তছরূপ করেছে আদানি গ্রুপ। আর হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের মূল কাণ্ডারি হলেন নাথান আন্ডারসন (Nathan Anderson) যিনি এই ফার্মের প্রতিষ্ঠাতাও বটে। তাঁর নির্দেশেই শনিবার সন্ধ্যায় এই রিপোর্ট পেশ করে সেবির চেয়ারপার্সনের দিকে অভিযোগের নিশানা তোলা হয়।


কর্পোরেট জালিয়াতি প্রকাশ করেছে হিন্ডেনবার্গ


নিউ ইয়র্কের একটি ফরেনসিক আর্থিক গবেষণা সংস্থা এই হিন্ডেনবার্গ ফার্ম যা কিনা সমস্ত কর্পোরেট জালিয়াতি এবং অনৈতিক ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে। ২০১৭ সালে নাথান আন্ডারসন এই হিন্ডেনবার্গ সংস্থা গড়ে তোলেন। মূলত পাবলিকলি ট্রেডেড স্টকগুলির সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করাই এই ফার্মের কাজ ছিল। সেই সময় থেকেই অ্যাকাউন্টিংয়ে অনৈতিকতা, ম্যানেজমেন্টে অসৎ লোক, অবৈধ লেনদেন ও ব্যবসার ব্যাপারে সত্য তুলে ধরত এই সংস্থা।


হিন্ডেনবার্গ দুর্ঘটনা থেকেই এই সংস্থার নাম


১৯৩৭ সালের হিন্ডেনবার্গ দুর্ঘটনা থেকেই এই সংস্থার এরূপ নামকরণ করা হয়েছে। নাথান আন্ডারসন মনে করেন যে আর্থিক জালিয়াতির হাত থেকে বিনিয়োগকারীদের বাঁচানো এবং তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাই এই সংস্থার মূল উদ্দেশ্য। ব্যবসায়িক সংস্থাগুলির অনৈতিক কাজের ফাঁদে পড়ে যাতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা সর্বস্বান্ত না হন, সেই চেষ্টাই করে চলেছে হিন্ডেনবার্গ সংস্থা। ২০২৩ সালে ভারতের শেয়ার বাজার নিয়ে গবেষণায় আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছিল এই হিন্ডেনবার্গ সংস্থা। এবারে সেই আদানি গ্রুপের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে সেবির চেয়ারপার্সন মাধবী পুরি বুচের। ২০২০ সালে ইভি স্টার্ট আপ নিকোলা কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল হিন্ডেনবার্গ। আর তারপরেই নিকোলার শেয়ারের দাম হু হু করে পড়তে থাকে, শুরু হয় তদন্ত।


হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধেও মামলা করেছে বহু সংস্থা


নাথান আন্ডারসনের এই কাজ সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ী বিনিয়োগকারীদের কাছে একইসঙ্গে প্রশংসিত ও সমালোচিত হয়েছিল। বিনিয়োগকারীরা যেখানে তাঁকে প্রশংসা করেছেন, সেখানে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থা দাবি করেছে যে এই হিন্ডেনবার্গ ফার্ম আসলে শর্ট সেলিংয়ের মাধ্যমে উপার্জন করে বাজার থেকে। বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং বাজারে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। নাথান আন্ডারসন এবং তাঁর সংস্থা হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বহু সংস্থা।



আরও পড়ুন: Hindenburg Research: হিন্ডেনবার্গের দাবি নস্যাৎ, 'মানহানির চেষ্টা' পাল্টা দাবি সেবি চেয়ারপার্সনের