Malabar Gold and Diamonds: কথায় বলে সাফল্য (Success Story) কখনও এক রাতে চলে আসে না। বহু বাধা পেরিয়ে নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকে এগিয়ে গেলেই আসে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। একসময় ঠেলায় করে মশলা বিক্রি করতেন এই ব্যক্তি আর আজ তাঁর গোটা দেশে বিদেশে ছড়ানো ৫১ হাজার কোটির ব্যবসায়িক সংস্থা। জীবনে এসে বহু ব্যর্থতা, হতাশায় ডুবে গিয়েও আজ সোনার (Malabar Gold and Jewellery) মত উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে তাঁর সাফল্য। এই ব্যক্তির নাম এমপি আহমেদ (MP Ahammed)।


মাত্র ২০ বছর বয়সে ১৯৭৮ সাল থেকেই নিজে ব্যবসায়িক জগতে পদার্পণ করেন তিনি। শুরু করেন নিজের উদ্যোগে নিজের ব্যবসা, মশলা বিক্রি। কেরালার কোঝিকোড় থেকে এই ব্যবসা পরিচালনা করতেন এমপি আহমেদ। গোলমরিচ, ধনে, নারকেল ইত্যাদি বিক্রি করতেন তিনি সেই সময়। কিছুদিন যাওয়ার পরে তিনি বুঝতে পারেন যে এই ব্যবসা খুব বেশি মুনাফা তোলা সম্ভব নয় এবং এই ব্যবসা খুব একটা টেকসই ব্যবসা নয়। ফলে সেই ব্যবসা বন্ধ করে বাজার নিয়ে পড়াশোনা খোঁজ চালাতে থাকেন।




তাঁর নিজের বাড়ি মালাবারে থাকার সময় তিনি লক্ষ্য করেন যে সোনা হল এমন এক জিনিস যা বিনিয়োগের জন্যও মানুষ কেনে এবং উৎসব অনুষ্ঠানের জন্য কেনাকাটা করে। আর এই পর্যবেক্ষণ থেকেই শুরু করেন তিনি গহনার ব্যবসা। মালাবার ব্র্যান্ড নেম দিয়ে নিজের নতুন ব্যবসা শুরু করেন এমপি আহমেদ যেখানে গ্রাহকদের খুব স্বল্পমূল্যে গহনা গড়িয়ে দেওয়া যায়।


পরিকল্পনা খুব ভালভাবে বুনন করা ছিল, তাঁর পরিবারের সাত জন সদস্য এতে সংযুক্ত ছিলেন, কিন্তু তাঁর পরেও এই ব্যবসাকে বাড়ানোর জন্য পুঁজি সংগ্রহের ক্ষেত্রে বারবার ব্যর্থ হচ্ছিলেন আহমেদ। কিন্তু তিনি ছিলেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, ফলে ব্যবসা যেভাবেই হোক তাঁকে দাঁড় করাতেই হত আর তাই নিজের সব সম্পদ বিক্রি করে জোগাড় করেন ৫০ লক্ষ টাকা। আর এ থেকেই শুরু হয় মালাবার গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডের যাত্রাপথ। ১৯৯৩ সালে কোঝিকোড়ে একটি ৪০০ বর্গফুটের দোকান থেকেই পাকাপাকিভাবে মালাবার গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডের জার্নি শুরু হয়ে যায়।


আহমেদ তাঁর দক্ষ কারিগরদের সহায়তায় ঘরে ঘরে নতুনতর গয়নার কারুকার্য উদ্ভাবনে সক্ষম হন এবং তাঁর গ্রাহকসংখ্যা বেড়ে চলে ক্রমেই। আর তাঁর কারিগররা বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে গয়নার কারুকার্য তাঁর টেক্সচার দেখে তা সংগ্রহ করে রাখত আর সেটাই আহমেদের উইনিং স্ট্রাটেজি ছিল বলা যায়। ধীরে ধীরে থেলিচেরি ও থিরুর এলাকায় অতিরিক্ত দুটি স্টোর খোলেন এমপি আহমেদ। ৪০০ বর্গফুটের দোকান বড় হয়ে হয় ৪০০০ বর্গফুটের দোকানে। ১৯৯৯ সাল থেকে BIS হলমার্ক দেওয়া সোনার গয়না বিক্রি করতে শুরু করেন এমপি আহমেদ।


২০০১ সালে উপসাগরীয় অঞ্চলে এমপি আহমেদ প্রথম মালাবার গোল্ডের একটি স্টোর উদ্ঘাটন করেন। ২০১১ সালের মধ্যে দেশে মোট ৫০টি স্টোর খুলে ফেলেছেন এমপি আহমেদ। বছরে ১২ হাজার কোটি টাকার টার্নওভার তখন আহমেদের। ২০১৩ সালে ৭টি দেশ মিলিয়ে মোট ১০৩টি আউটলেট ছিল মালাবার গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডের। ফোর্বসের সমীক্ষা অনুযায়ী ২০২৩ সালে এমপি আহমেদের এই ব্যবসার বাজার মূল্য দাঁড়ায় ৫১ হাজার কোটি টাকা।


আরও পড়ুন: Interest Rate Hike: বাড়বে EMI-এর চাপ ? ফের ঋণের উপর সুদের হার বাড়াল এই ৩ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI