কলকাতা: যদি হোয়াটসঅ্য়াপকে (WhatsApp) এনক্রিপশন ভাঙতে হয়, তাহলে ভারত থেকে গোটা পরিষেবাই তুলে নেবে মেটার এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনই দাবি করল হোয়াটসঅ্যাপ (whatsapp india exit)। বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টের একটি মামলার শুনানিতে হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে এমনটাই দাবি করা হয়। Bar and Bench-এর প্রতিবেদন অনুসারে হোয়াটসঅ্যাপের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে end-to-end encryption সুবিধার জন্য়ই লোকজন এই প্ল্যাটফর্ম ব্য়বহার করে। ফলে এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের বিশ্বাসভঙ্গে সামিল হবে। 


কোন মামলার শুনানি?
ভারতের ২০২১-এর তথ্য়প্রযুক্তি আইন (Information Technology Rules)-এর একটি বিষয়কে চ্যালেঞ্জ করে পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল হোয়াটসঅ্য়াপ (whatsapp vs indian government) এবং তার মূল সংস্থা মেটার তরফে। ওই আইনে Rule 4 (2) বলা হয়েছিল সোশ্য়াল মিডিয়া ইন্টারমিডিয়ারিজ তাদের মেসেজিং অ্যাপকে দিয়ে কোনও চ্যাটের উৎস খুঁজতে হবে। অর্থাৎ কোনও তথ্যের মূল উৎস, কোনও মেসেজ প্রথম কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কোনও আদালত বা কোনও উপযুক্ত কোনও কর্তৃপক্ষ যদি নির্দেশ দেয় তাহলে ওই মেসেজের'First Originator' কে খুঁজে বের করে চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে (whatsapp latest news today)। 


হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, IT Rule-এর এই ধারা মানতে গেলে অসংখ্য-বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। যে সুবিধা এখন বিশ্বের কোথাও নেই। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের একটি প্রতিবেদন সূত্রে খবর, হোয়াটস্অ্যাপের তরফে দিল্লি হাইকোর্টে জানানো হয়েছে- এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। সংস্থার তরফে এমনটাও দাবি করা হয়েছে যে বিশ্বের কোথাও এমন কোনও নিয়ম নেই। যদিও উল্টোপক্ষের যুক্তি যে এখন যা পরিস্থিতি তাতে প্রয়োজনের কারণেই এমন মেসেজের উৎসের খোঁজ নেওয়া প্রয়োজন। হিংসার ঘটনার ক্ষেত্রে এমন তথ্য পাওয়া প্রয়োজন বলে দাবি করা হয়েছে।


Information Technology (Intermediary Guidelines and Digital Media Ethics Code) Rules, 2021- এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক হাইকোর্টে ইতিমধ্যেই নানা মামলা হয়েছে। গত মার্চে বেশ কিছু মামলায় সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি হাইকোর্টে শুনানির জন্য পাঠিয়েছে। 


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: ভোটদানে প্রথম দিকেই বাংলা! পিছনে মহারাষ্ট্র! সকাল ৯টা পর্যন্ত কোথায় দাঁড়িয়ে কে?