রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড়ে তৃণমূলে ভাঙন। এবার ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আরাবুল ইসলামের (TMC Leader Arabul Islam) পাড়া থেকেই তৃণমূল ছেড়ে আইএসএফ-এ (ISF) যোগ দিলেন প্রায় শতাধিক তৃণমূল কর্মী (TMC Worker)। সোমবার রাতে আইএসএফ নেতা রাইনুর হকের হাত ধরে আইএসএফে যোগ দেয় তৃণমূল কর্মীরা। এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরে করে আসলেও কোনওরকম সহযোগিতা পায়নি, সেই অভিযোগ করে তৃণমূল ছাড়ল পোলেরহাট ২ অঞ্চলের ৯৬ নং বুথের প্রায় শতাধিক তৃণমূল কর্মী।


আইএসএফ নেতা রাইনুর হক বলেন, 'বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর কাজের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা আইএসএফে যোগ দিয়েছে। তাঁদেরকে আমরা স্বাগত জানালাম।' আইএসএফে যোগ দিয়েই ৯৬ বুথের বুথ সভাপতি হলেন আখতার মোল্লা। প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে শাসকদলে একাধিকবার ভাঙনের ছবি প্রকাশ্য়ে এসেছে। তার মধ্যে মালদা, পূর্ব  মেদিনীপুর-সহ একাধিক জেলাও রয়েছে।


চলতি মাসেই পূর্ব মেদিনীপুরে ভাঙনের ছবি প্রকাশ্যে আসে ঘাসফুল শিবিরে। তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিল একাধিক ব্যক্তি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ১ ব্লকের পাঁচরোল গ্রাম পঞ্চায়েতের কসবাগোলা গ্রামে তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুল ইয়াসিন মল্লিক, শেখ মৈজ্জুদিন ও শেখ আলফাজুদ্দিন- সহ কয়েকশো মানুষ তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন। কসবাগোলাতে তাঁদের দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মানস করমহাপাত্র। তিনি বলেছিলেন, 'অন্য দল থেকে শতাধিক কর্মী স্বেচ্ছায় জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করেছে। যতই পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসবে শয়ে শয়ে মানুষ তৃণমূল ও বিজেপি ছেড়ে জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করবেন।'


পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মালদাতেও তৃণমূলে ভাঙন ধরা পড়েছিল সম্প্রতি। তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন রতুয়া এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মহম্মদ টিপু সুলতান, বাহারাল গ্রাম পঞ্চায়েতের চার তৃণমূল সদস্য, জেলা নেতা প্রদীপ সাহা-সহ কয়েকশো কর্মী। মহম্মদ টিপু সুলতানের বক্তব্য, 'চেয়ারম্যান ও সভাপতি পুরনোদের গুরুত্ব দিচ্ছে না। টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রি হচ্ছে। তাই কংগ্রেসে যোগদান করলাম।'


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


পাশাপাশি তৃণমূলত্যাগী প্রদীপ সাহা বলেছেন, 'পঞ্চায়েতে দুর্নীতি এবং প্রার্থী করার নামে দলের কর্মীদের থেকে টাকা তোলা হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে দল ত্যাগ করলাম।' তৃণমূল কর্মীরা কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় হাত শিবির শক্তিশালী হবে বলেই মনে করছে কংগ্রেস। মালদা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মোত্তাকিন আলম বলেছিলেন, 'মালদায় কংগ্রেস ফের শক্তিশালী হচ্ছে। এর প্রভাব পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) পড়বে'। যদিও 'কংগ্রেস যাত্রাপালা করছে' বলে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি।