সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: মাটি চাপা পড়ে ২ নাবালকের (adolescent death) মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া পুরুলিয়ার (purulia) ফুসরাটাড়ে। মৃত ২ নাবালকের নাম মহেশ্বর হেমব্রম এবং সনাতন বাস্কে। মহেশ্বরের বয়স ১৪ বছর, সনাতন ১০ বছরের। 


কী ঘটেছিল?
বৃহস্পতিবার দুপুরের ঘটনা। ফুসরাটাড় এলাকার আর্শা থানার মুদালী গ্রামের অদূরে জঙ্গলে ৩ নাবালক মিলে গরু চড়াতে গিয়েছিল। সেখানেই মাটির গভীরে থাকা পাখির বাসা থেকে হাত ঢুকিয়ে পাখি ধরার সময় মাটি ধসে যায়। প্রাথমিক ভাবে ধারণা, সেই মাটিতেই চাপা পড়ে ২ নাবালক। তৃতীয় জন ওই মর্মান্তিক ঘটনার কথা গ্রামে খবর দিলে গ্রামের মানুষ এসে মাটি সরিয়ে তাদের উদ্ধার করে। দ্রুত ওই দুজনকে পুরুলিয়া গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা ১ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দ্বিতীয় জনের চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয়। আচমকা এমন ঘটনায় শোকের ছায়া গোটা এলাকায়। কোথা থেকে কী হয়ে গেল, বুঝে উঠতে পারছে না দুই নাবালকের পরিবার। শোকে কথা সরছে না কারও।


শিলিগুড়িতে এক ঘটনা...
মাসতিনেক আগে রাতের অন্ধকারে নদীঘাট থেকে বালি, পাথর তুলতে গিয়ে ধসে চাপা পড়ে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল ৩ শিশু শ্রমিকের। আহত হয় আরও এক নাবালক। জানুয়ারি মাস থেকে বালাসন নদীর ঘাট থেকে বালি, পাথর তোলা বন্ধ। স্থানীয়দের দাবি, এরপরও প্রশাসনের নাকের ডগায় রাতের অন্ধকারে চলে বালি, পাথর তোলা। গভীর  রাতে সেই কাজ করতে গিয়েই নদীর পাড়ে ধসে চাপা পড়ে ৩ শিশু শ্রমিকের মৃত্যু হয়, দাবি স্থানীয়দের। মৃতদের বয়স ছিল ১৩-১৪-র মধ্যে। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা। এই নিয়ে মুখে কুলুপ আঁটে প্রশাসন। কিছুদিন আগে অন্ডালে ইসিএলের কয়লা খনি অঞ্চলে ফেরে ধসের আতঙ্ক। অন্ডালের মুকুন্দপুর ৪ নম্বর কোড়াপাড়ায় পরিত্যক্ত খনির কাছেই ধস নামে। খনি থেকে জল বের করার জন্য পাম্প চালাতেই বিপত্তি, এই অভিযোগ তুলে অস্থায়ী পাম্প হাউসে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। ইসিএল কর্তৃপক্ষের অবশ্য প্রতিক্রিয়া মেলেনি। 


আরও পড়ুন:পঞ্চায়েত ভোটে কোন দিকে ঝুঁকে মুর্শিদাবাদ? কী বলছে C-Voter-র জনমত সমীক্ষা?