বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: রামনগর,ময়নার পর ফের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (electrocuted) হওয়ার ঘটনা ঘটল পূর্ব মেদিনীপুরে (east midnapore)। এবারের ঘটনাস্থল হলদিয়া (haldia) পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড। জখম (injured) দুই শ্রমিক। তাঁদের হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। 


কী ঘটেছিল?
ঘটনাটি ঘটে ডিঘাসিপুর বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এদিন স্কুল রং করার কাজ করছিলেন দুজন শ্রমিক। সেই সময় এক জন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে দ্বিতীয় জন তাঁকে বাঁচাতে যান। ফলে দুজনেই গুরুতর জখম হয়েছেন। ঘটনা হল, ডিঘাসিপুর বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঠিক উপর দিয়েই চলে গিয়েছে বিদ্যুতের হাইটেনশন লাইন। স্কুলের শিক্ষকদের বক্তব্য, বিষয়টি থেকে যে বিপদ হতে পারে সে কথা বার বার বিদ্যুৎ দফতরে বলেছিলেন তাঁরা। তার পরও কোনও সুরাহা হয়নি। এদিনের ঘটনার পর স্কুল চত্বরে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর আজগর আলি। তাঁর দাবি, বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত হাইটেনশন ওই তার কেবল তারে বদলে দিতে রাজি হয়েছেন বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে একটু দেরি হয়ে গেল না? শিক্ষকরা যা বলছেন তা সত্যি হলে, বিদ্যুৎ দফতর আগেই কেন তৎপর হয়নি? তা হলে হয়তো এদিনের ভয়ঙ্কর বিপদ এড়ানো যেত, আক্ষেপ যাচ্ছে না দুই শ্রমিকের পরিবারের। ভয়ে রয়েছেন স্থানীয়রাও।


একই ঘটনা বার বার...
দিন দুয়েক আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের পশ্চিম করণচি গ্রামে ছেড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় নিমাই জানা নামে এক যুবকের। সে বারও বিদ্যুৎ দফতরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছিলেন স্থানীয়রা, এলাকায় বিক্ষোভও হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছিল,নিমাই দিঘায় জিনিস ফেরি করতেন। ঘটনার দিন, রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ফেরার পথে বাড়ির কাছেই ছেড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় যুবকের। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, ২ দিন আগে ঝড়ে তার ছিঁড়ে পড়লে বিদ্যুৎ দফতরে খবর দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু কেউ কর্ণপাত করেননি। এর আগে হাওড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক ছাত্রীর। কিছুদিন আগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হরিনাভিতে মারা গিয়েছিল একজন। এছাড়াও হাওড়ায় মারা গিয়েছিল এক কিশোরী। মৃতা সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে,ল্যাম্পপোস্টের খোলা তার থেকেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় সেই ছাত্রীর।
একের পর এক ঘটনা সত্ত্বেও কি টনক নড়ছে বিদ্যুৎ দফতরের?এদিনের ঘটনার পর ফের উঠছে সেই প্রশ্ন। 


আরও পড়ুন:বারবার দুর্ঘটনায় শুভেন্দুর কনভয়, তদন্তের দাবিতে আদালতে যাচ্ছে বিজেপি