সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: ডাকাতির (Robbery) উদ্দেশে জড়ো হওয়া তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল নদিয়ার (Nadia) গাংনাপুর থানার পুলিশ। উদ্ধার হল আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র (Weapon)। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে ডাকাতির উদ্দেশে জড়ো হয় তিন দুষ্কৃতী। রাতে পুলিশ গাড়ি টহল দিচ্ছিল। মাঝের গ্রাম ৯ নম্বর রেলগেট এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশে জড়ো হয়েছিল ওই তিন দুষ্কৃতী। এরপর তল্লাশির সময় তাদেরকে গ্রেফতার করে। ধৃতরা হলেন দীনেশ সিকদার, তুহিন সরকার ও রতন বিশ্বাস। ধৃতদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি গুলি একটি ভোজালি এবং একটি রামদা উদ্ধার হয়। সকলের বাড়ি গাংনাপুর থানা এলাকায়। ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আজ তাদের রানাঘাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত কি না তা দেখতে চাইছে পুলিশ।
কিছুদিন আগেই গড়ফায় ডাকাতির খবর কানে এসেছিল। গড়ফায় দিনেদুপুরে ডাকাতি। হাত-পা বেঁধে গৃহিণীকে শৌচাগারে বন্ধ করে রেখে লুঠপাট। নগদ ৩০ হাজার টাকা ও গয়না হাতিয়ে চম্পট দুষ্কৃতীদের, অভিযোগ গৃহিণীর। ভরদুপুরে গড়ফার মণ্ডলপাড়ায় নির্মাণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা। মুখে রুমাল বেঁধে, টুপি পরে আসে দুষ্কৃতীরা, দাবি গৃহিণীর।
ড়ফার মণ্ডল পাড়ার বাসিন্দা নির্মাণ ব্যবসায়ী সমর কর্মকার। এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ডাকাতি হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার সময় সমর কর্মকার বাড়িতে ছিলেন না। বাড়িতে একাই ছিলেন সমরের স্ত্রী শিবানী কর্মকার। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের মুখে রুমাল চাপা দেওয়া ছিল। মাথায় ছিল টুপিও। কলিং বেলের আওয়াজ পেয়ে দরজা খোলেন শিবানী। পুলিশ সূত্রে খবর, দরজা খুলতেই ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়ে। ছুরি নিয়ে ভয় দেখায় অভিযুক্ত। হাত-পা মুখ বেঁধে শৌচাগারে নিয়ে যাওয়া হয় গৃহিণীকে। গলার সোনার চেন এবং হাতে সোনার আংটি খুলে নেয়। পাশাপাশি ৩০ হাজার টাকা এবং সমর কর্মকারের চারটে সোনার আংটি নিয়ে চম্পট দেয়।
এর কিছুদিন আগে, এদিকে ৫ হাজার টাকা ক্যাশব্যাকের (Cashback) ফাঁদে পড়ে ১ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা খোয়ালেন জোড়াবাগানের এক বাসিন্দা। জোড়াবাগান থানার পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের নর্থ ডিভিশনের সাইবার শাখাতে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, খোয়া যাওয়া টাকা দিয়ে কেনা হয়েছিল সোনার কয়েন।