ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: বিজেপির নবান্ন অভিযানে (BJP Nabanna Abhijan) বড়বাজারে এমজি রোডে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের (Arson) ঘটনায় গ্রেফতার আরও ৭ জন (Arrest)। এই নিয়ে এই ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ (Kolkata News)।


বিজেপি-র নবান্ন অভিযানে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গ্রেফতার আরও


যে ব্যক্তি গাড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগান, গতকালই লালবাজারের তরফে তাঁর ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে কর্তব্যরত সরকারি কর্মীকে মারধর, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।


মঙ্গলবার বিজেপি-র নবান্ন অভিযানের দিন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরানোর ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় অভিযুক্তদেক ছবি ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।


আরও পড়ুন: Cattle Scam: অনুব্রত-র ২ মোবাইল ফোন কেন্দ্রীয় ল্যাবে পাঠানোর নির্দেশ, ১৪ দিনের জেল হেফাজত সায়গল-র


মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে কলেজ স্ক্য়োয়ার থেকে এগোচ্ছিল বিজেপি-র একটি মিছিলের। হাওড়া ব্রিজের কাছে সেটি আটকায় পুলিশ। সেখানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। সেখানে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর, লাঠি, বাঁশ ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। এ ছাড়াও রবীন্দ্র সরণী এবং মহাত্মা গাঁধী রোডের ক্রসিংয়ে পুলিশের একটি পিসিআর ভ্যাানে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরানো হয়।


সেই ঘটনায় বুধবার একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পর সিসিটিভি ফুটেড দেখে আরও কয়েক জনকে শনাক্ত করে পুলিশ। শুরু হয় তল্লাশি। তাতেই আরও সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো, কর্তব্যরত পুলিশকে কাজে বাধা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।


বিজেপি-র নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার বাধে শহরে


এ দিকে, হাওড়াতেও ওই দিন দুই মিছিল এগোয়। সেখানেও পুলিশের উপর হামলা হয়। হাওড়া সিটি পুলিশ বৃহস্পতিবার বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। তা দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। সাঁতরাগাছি এবং হাওড়া ময়দানে কারা অশান্তি বাধান, তা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।


বিজেপি-র নবান্ন অভিযান ঘিরে যে ধুন্ধুমার দেখা গিয়েছে, পুলিসের উপর হামলার যে দৃস্য উঠে এসেছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও চরমে। কলকাতায় বিজেপি কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হন পুলিশের এক আধিকারিক। এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি তিনি। গতকাল তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান তৃমমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। তাঁর চোখের সামেন ঘটলে গুলি করে দিতেন বলে মন্তব্য করেন অভিষেক। তা নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে।