কলকাতা: শহরে এক ব্যক্তির রহস্যমৃত্যু। চলন্ত অটো থেকে দেহ ফেলে দিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। টালিগঞ্জ মেট্রো স্টেশনের কাছে উদ্ধার মৃতদেহ। অটোর চালক, মালিক ও মহিলা যাত্রীকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ। কীভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখছে রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ।


ব্যক্তির রহস্যমৃত্যু: টালিগঞ্জ মেট্রো স্টেশনের কাছে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল। রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ সূত্রে খবর, এক পথচারী ফোন করে জানান, সকাল ১১টা নাগাদ চলন্ত অটো থেকে সেই ব্যক্তিকে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়। অটোয় চালক ছাড়াও তখন এক বয়স্ক মহিলা ছিলেন। অটোর নম্বরও পথচারীই পুলিশকে দেন। এরপর পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। নম্বরের সূত্রে খোঁজ মেলে ঠাকুরপুকুর-কবরডাঙা রুটের অটো চালকের। জানা গেছে, মৃত ব্যক্তির নাম ভোলা। 


কীভাবে মৃত্যু হল ওই ব্যক্তির? খুন করে ফেলে দেওয়া হয়েছে দেহ? কোথায় গেল সেই অটো?দেহ উদ্ধারের পর, পথচারীর দেওয়া নম্বরের সূত্র ধরে অটোর খোঁজ শুরু করে পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ পর, খোঁজ মেলে ঠাকুরপুকুর-কবরডাঙা রুটের ওই অটো এবং চালকের। খোঁজ মেলে অটোর মহিলা যাত্রীরও। থানায় আনা হয় অটোর মালিক সহ তিনজনকে। জানা গিয়েছে, হরিদেবপুর থানা এলাকায় তিনি থাকতেন। মহিলা কবরডাঙা বাজারে মাছের ব্যবসা করেন। তাঁর দাবি, এদিন সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন ভোলা। ৩০০ টাকা দিয়ে অটো ভাড়া করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন। রাস্তায় ভোলার মৃত্যু হলে, ভয় পেয়ে দেহ ফেলে পালিয়ে যান।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মৃতের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে মৃত্যুর কারণ। অটোর চালক ও মহিলা যাত্রীর দাবি সঠিক কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। মৃতের পরিবারের কেউ আছেন কি না তার খোঁজ চলছে।মৃতদেহ উদ্ধারের পর কবরডাঙা বাজারে গিয়েও স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। 


এদিকে রাতের শহরে তরুণকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। বাঁশদ্রোণী থানা এলাকার দীনেশনগরের ঘটনা। মৃত বছর ২৫-এর প্রসেনজিৎ দাস, পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান, পূর্ব পুটিয়ারির দক্ষিণ আনন্দপল্লির বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল রাতে মদের আসরে ফেসবুকে একটি ছবি দেখাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী যুবক কৌশিক বারুইয়ের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা হয়। বন্ধুদের মধ্যস্থতায় তখনকার মতো ঝামেলা মিটলেও, অভিযোগ রাত ১১টা নাগাদ প্রসেনজিৎ বাড়ি ফেরার সময় তাঁর উপর চড়াও হন কৌশিক। অভিযোগ, ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনায় মৃতের আত্মীয় এবং প্রতিবেশীরা বাঁশদ্রোণী থানায় বিক্ষোভ দেখায়, মৃদু লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অভিযুক্ত কৌশিক বারুইকে গ্রেফতার করেছে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ। 


আরও পড়ুন: Blackheads: ঘরোয়া পদ্ধতিতে কীভাবে দূর করবেন ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা?