কলকাতা: অ্যাডিনো উদ্বেগে চালু ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন নম্বর। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee)। এদিন মুখ্যসচিব জানান, 1800313444222 ২৪ ঘণ্টার জন্য এই হেল্পলাইন নম্বর চালু থাকবে। 


অ্যাডিনো আবহে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ: এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি ১২টা কেসের মধ্যে দেখতে পাচ্ছি, ২ টো অ্যাডিনো ভাইরাস। আর ১০টা কেস হচ্ছে, ধরুন কারও হয়ত সেপসিস হয়েছে, কারও হয়ত রিপিটেড অ্যাটাক হয়েছে, যাকে আমরা অ্যাডিনো ভাইরাস বলছি। একটি কেস হয়েছে বসিরহাট, কলকাতার চিত্তরঞ্জনে। বাদবাকিগুলি নানারকম উপসর্গ আছে, কোনওটা ওয়েট কম, বেশিরভাগ এগুলিই।  এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ৫ হাজার বেড রেডি আছে, ৬০০ শিশু চিকিৎসক তৈরি আছেন। যেহেতু করোনা হয়ে গেছে, তাই একটা আতঙ্ক কাজ করছে। তার পর যে কোনও ভাইরাস আসলেই, যেমন টাইফয়েড আমাদের হয়, সর্দি-কাশি হয, পরিজনদেরও যত্ন নিতে হবে। বাচ্চারা মাস্ক পরতে পারে না, কিন্তু বাচ্চাদের প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বের করাই ভাল, কারণ বাচ্চারা মাস্ক পরতে পারে না।''                                                                      


পরপর শিশু মৃত্য়ু: অ্যাডিনো-আতঙ্কের মধ্যেই ফের বি সি রায় হাসপাতালে পরপর শিশু মৃত্য়ু। এই নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় এই হাসপাতালেই মৃত্যু হল ৭ জনের। ২ মাসে রাজ্যে ৫০ জন শিশুর মৃত্যু হল। আজ সকালে বি সি রায় হাসপাতালে মৃত্যু হয় ৩ মাসের শিশুকন্যার। ভাঙড়ের ওই শিশু জ্বর-শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি হয়। আইসিইউ-তে ছিল ওই শিশু। এর আগে ভোর ৪টে নাগাদ হুগলির খানাকুলের সাড়ে ৩ বছরের আরও এক শিশুকন্যার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার বি সি রায় হাসপাতালে ভর্তির পর পিকু-তে রাখা হয়েছিল শিশুকে। নিউমোনিয়ায় মৃত্যু বলে উল্লেখ। গতকাল রাত ১টা নাগাদ বি সি রায় হাসপাতালে মৃত্যু হয় বারাসাতের আড়াইমাস বয়সী শিশুকন্যার। জ্বর-সর্দি-কাশির উপসর্গ নিয়ে দিনদশেক ধরে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিল ওই শিশু। শনিবার বি সি রায় হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। গতকাল রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও এক শিশুর মৃ্ত্যু হয়। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার ১৯ দিনের শিশু জ্বর-সর্দি-কাশির উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছিল। 


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ‘বিজেপি-র থেকে সাহায্য় নিয়ে নিজেদের বিরোধী বলছেন’! বাম-কংগ্রেস জোট 'অনৈতিক', বললেন মমতা