সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা: নিমতলা ঘাটে গঙ্গায় (Car Drowned In Ganges) তলিয়ে গেল গাড়ি। অল্পের জন্য প্রাণ বাঁচল কিশোরের। গঙ্গা থেকে গাড়ি উদ্ধারের (Nimtala Ghat Accident) কাজ চলছে। গঙ্গার ধারে দাঁড় করানো ছিল গাড়ি। স্থানীয় সূত্রে খবর, রুবির বাসিন্দা কিশোরের পরিবার ভূতনাথ মন্দিরে পুজো দিতে এসেছিল। ওই কিশোর গাড়িতে উঠে গিয়ার চেঞ্জ করতেই চাকা গড়াতে শুরু করে। গাড়ি সহ গঙ্গায় পড়ে যায় বালক। স্থানীয়দের তৎপরতায় তার প্রাণ রক্ষা হয়। বহুক্ষণের চেষ্টায় গাড়িটিও উদ্ধার করা যায়।
বিশদ...
নিমতলা ঘাটের যে ঢাল রয়েছে, তার সিমেন্টের মাটিতে গাড়ির চাকা গেঁথে যায়। তার পরই হঠাৎ দুর্ঘটনা। প্রথমে বেশ কিছুক্ষণ উদ্ধারকাজ চালাতে গিয়ে সাফল্য আসেনি। গাড়িটি টেনে তোলার জন্য বড় ক্রেন আনা হয়েছে। কাজ এখনও চলছে। যেহেতু ভাঁটার কারণে জল কিছুটা কমেছে, তাই উদ্ধারকাজে গতি আনা হয়েছে। ভোর ৬টা থেকে সাড়ে ৬টার মধ্যে, রুবি থেকে একটি পরিবার এখানে পুজো দিতে আসেন বলে খবর। তাঁরা এই গাড়িটি চেপে এসেছিলেন। গঙ্গার ঘাটের যে ঢাল, সেখানে গাড়িটি রাখেন তাঁরা। পুজো দিয়ে এসে ওই পরিবারের কিশোর সদস্য প্রথম গাড়িতে ওঠে এবং তার পর সেটি 'নিউট্রাল' করে দেয়। ফলে সেটি ক্রমেই গঙ্গার দিকে যেতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত গাড়ি অনেকটাই জলমগ্ন হয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, যাঁরা সেখানে স্নান করছিলেন, তাঁরাই উদ্ধারকাজে হাত লাগান। কিশোরকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পৌঁছয়, এসেছেন স্থানীয়রা। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় অবশেষে সেটি তোলা সম্ভব হয়েছে।
রবিবারের কলকাতায় যখন এই দুর্ঘটনার খবরে আলোড়ন তৈরি হয়েছে, তখন পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টিতে ফের ধস নেমে বন্ধ হয়ে যায় ১১০ নম্বর জাতীয় সড়ক।
আর যা...
কালিম্পঙের নিকোবির এলাকায় নতুন করে ধস নেমেছে। কার্শিয়ং পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ধোবিখোলায় ১১০ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে বইছে জল। বিকল্প হিসেবে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে লাভা ও বাগরাকোট দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। অন্যদিকে, বৃষ্টি-বিপর্যয়ে উত্তর সিকিমের লাচুংয়ে আটকে পড়েন প্রায় ১২০০ পর্যটক। এদের মধ্যে ৬ জন বিদেশি পর্যটক রয়েছেন। সূত্রের খবর, তাঁদের উদ্ধার করে গ্যাংটকে নিয়ে যাওয়া হয়। আবহাওয়ার উন্নতি হলেই শুরু হবে উদ্ধারকাজ। বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হবে গন্তব্যে।
আরও পড়ুন:কলকাতা শ্য়ুটআউটকাণ্ডে পাকড়াও ৪! এখনও পলাতক সোনা