অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: হাতির (Elephant) মৃত্যু (death) ঘিরে হইচই নয়াগ্রামে (nayagram)। আজ সকালে ধানজমিতে তার বিশালাকার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা (villagers)। খবর জানতে পেরে দ্রুত পৌঁছয় বন দফতরের (forest department) টিম। চিকিৎসক এসে নমুনা সংগ্রহের পর হাতিটিকে  অন্যত্র পোড়ানোর কথা।


যা ঘটেছে...
ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকের তিন নম্বর বড়খাঁকড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের রঘুনাথপুর এলাকায় পূর্ণবয়স্ক ওই হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেরই বিড়িবাড়িয়া জঙ্গল লাগোয়া রঘুনাথপুর এলাকায় চাষের জমিতে তার দেহ পড়ে থাকতে দেখে। এরপর তাঁরাই বিষয়টি ফোন করে বন দফতরকে জানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বন দফতর এর আধিকারিকরা। তবে কী কারণে হাতিটি মারা গিয়েছে, এখনও স্পষ্ট নয়। প্রথমে তার দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে, তার পরই কী কারণে মৃত্যু তা জানা যাবে বলে বন দফতরের আধিকারিকরা জানান। এদিন হাতির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই সেটিকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়। প্রসঙ্গত, জঙ্গলমহলে হাতির তাণ্ডবে ফসল, ঘরবাড়ির ক্ষতি নতুন নয়। এই মুহূর্তেও নয়াগ্রামে প্রায় ৩০ টা হাতির একটি দল আছে। ক্ষেত্রবিশেষে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। তা সত্ত্বেও সেখানকার মানুষ হাতিকে দেবতা হিসেবে পুজো করে। স্বাভাবিক ভাবেই এদিন ওই মৃত্যুর খবরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে নয়াগ্রাম ব্লকের বিড়িবাড়িয়া জঙ্গল সংলগ্ন রঘুনাথপুর এলাকায়। 

আগেও মৃত্যু...
গত মার্চেই ঝাড়গ্রামের নয়াগ্ৰামের কৃষি জমি লাগোয়া এলাকায় হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। জানা যায়, সকালে নয়াগ্ৰামের মলম ৪ নম্বর অঞ্চলের কপ্তিভোল গ্রামের কৃষি জমি লাগোয়া জায়গায় একটি পূর্ণ বয়স্ক দাঁতালের মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে ঘটনার খবর বন দফতরে দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে বন দফতরের কর্মীরা এসে হাতিটিকে উদ্ধার করার জন্য তোড়জোড় করেন। তবে সে বারও হাতিটির মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে প্রাথমিক ভাবে কিছু জানতে পারেননি বন দফতরের কর্মীরা। তাঁদের কথায়, দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাশে না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। তবে নয়াগ্ৰাম তথা জঙ্গলমহল হাতি মৃত্যুর ঘটনায় বন দফতরের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। কারণ জঙ্গলমহল দিনের পর দিন হাতির উপদ্রব থাকা সত্ত্বেও কি বন কর্মীরা হাতির স্বাস্থ্য এবং গতিবিধি নিয়ে ঠিকঠাক খোঁজ খবর নিচ্ছেন না? প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এদিনের পরও সেই একই জিজ্ঞাসা স্থানীয়দের। 

আরও পড়ুন:উৎসবের মরসুমে ওমিক্রনের নতুন সাব ভ্যারিয়্যান্টের লালচোখ, খেয়াল রাখুন এই দিকে