কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: যাদবপুরে (Jadavpur University) ছাত্র মৃত্যু নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এবার গুরুদাস কলেজে (Gurudas College) র্যাগিংয়ের (Ragging) অভিযোগ করলেন এক পড়ুয়া। র্যাগিংয়ে অভিযুক্ত কলেজের তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ছাত্র সংসদের জেনারেল সেক্রেটরি। UGC-র কাছে সরাসরি নালিশ জানিয়েছেন গুরুদাস কলেজের অভিযোগকারী পড়ুয়া।
এই প্রেক্ষাপটে কলেজ কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে UGC। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে FIR করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। UGC-র নির্দেশ মেনে রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে, জানিয়েছেন গুরুদাস কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগের নেপথ্যে রাজনৈতিক চক্রান্তের তত্ত্ব খাড়া করেছেন র্যাগিংয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা।
এর আগে গতকাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভায় র্যাগিং-মুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার ডাক দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার র্যাগিংয়ে অভিযুক্ত তাঁরই দলের ছাত্র নেতা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশ থেকে কী বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, 'আমাদের সরকার র্যাগিং-এর হেল্পলাইন চালু করেছে। আমাদের লক্ষ্য র্যাগিং মুক্ত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি লাগাবোই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়েছেন এরাজ্যে আর কোন পড়ুয়ার প্রাণ যাবে না'।
আরও পড়ুন, দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের পর কি এলাকায় লুঠপাট? টাকা পয়সার হদিশ পাচ্ছেন না প্রতিবেশীরা
সম্প্রতি যাদবপুরকাণ্ডে রাজ্যজুড়ে তোলপাড়ের মধ্যেই এবার র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠছে দক্ষিণ কলকাতার একটি ক্যারাটে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। ক্যারাটে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়রের বিরুদ্ধেই অকথ্য নির্যাতনের অভিযোগ তুলে পুলিশের কাছে জানানো হয়েছে নালিশ। অভিযোগ, শিবির চলাকালীন একটি হোটেলের ঘরে জুনিয়র শিক্ষার্থীদের ওপর অকথ্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান এক সিনিয়র। হোটেলের ঘরে বিবস্ত্র করে শরীরের বিভিন্ন অংশে ট্যাটু আঁকতে বাধ্য করেন ওই সিনিয়র, এমনটাই অভিযোগ শিক্ষার্থীদের একাংশের। ঘটনার জেরে মাস তিনেক ট্রমার মধ্যে কাটান আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, যাদবপুর-সহ রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে র্যাগিং রুখতে নেওয়া হবে ইসরোর প্রযুক্তির সহায়তা। মালদা যাওয়ার পথে ট্রেনেই ইসরোর চেয়ারম্যান ও যাদবপুরের অন্তর্বর্তী উপাচার্যের সঙ্গে ফোনে কথা রাজ্যপালের। পরে ইসরোর চেয়ারম্যানের সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথা বললেন যাদবপুরের অন্তর্বর্তী উপাচার্য। ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা বসানোর ওয়ার্ক অর্ডারে সই হলেও, শুরু হল না কাজ।