অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) জঙ্গল এলাকা থেকে মাঝে মধ্যে লোকালয়ে বেরিয়ে আসে বিভিন্ন পশু। চোখে পড়লেই তাদের উদ্ধার করে বন দফতরের হাতে তুলে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুক্রবার ফের সেই একই ঘটনা ঘটল। লোকালয়ে বেরিয়ে আসা দুটি চিতল হরিণকে (chital deer) উদ্ধার করে বন দফতরের হাতে তুলে দিলেন চা বাগানের শ্রমিকরা।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পানা রেঞ্জের জঙ্গল থেকে লোকালয়ে চলে এসেছিল দুটি চিতল হরিণ। ‌শুক্রবার এই ঘটনার খবর জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে কালচিনি ব্লকের চিঞ্চুলা চা বাগান এলাকায়। 


আরও পড়ুন: Loksabha Elections 2024: ভোটের মধ্যে ভাইরাল ঘাটালের অডিও, চাকরি বিক্রি নিয়ে দেবকে নিশানা হিরণের


প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, চা বাগানের শ্রমিক মহল্লায় ঢুকে পড়েছিল তারা। তারপর ওই হরিণ দুটি বিভিন্ন এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চেষ্টা করার পর ওই এলাকার বাসিন্দারা হরিণ দুটিকে  ধরে ফেলেন। পাশাপাশি খবর দেন বন দফতরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুটি হরিণকে উদ্ধার করেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পানা মোবাইল রেঞ্জের বনকর্মী ও আধিকারিরা।‌ প্রাথমিক চিকিৎসার পর দুটি হরিণকে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে বন দফতর সূত্রে খবর।‌


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে প্রচুর পরিমাণে সম্বর ও বার্কিং হরিণ থাকলেও বাঘদের খাদ্য তালিকার অতিপ্রিয় চিতল হরিণের সংখ্যা কম ছিল। ওই ঘাটতি মেটানোর জন্য বর্ধমান, বীরভূম ও শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি সহ রাজ্যের বিভিন্ন অভয়ারণ্য থেকে বক্সার জঙ্গলে চিতল হরিণ নিয়ে এসে ছাড়ে বন দফতর। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে বীরভূমের বল্লভপুরের জঙ্গল থেকে ৮৩টি হরিণ এনে ছাড়া হয়েছিল। তার আগে শিলিগুড়ি ও বর্ধমান থেকে হরিণ নিয়ে ছাড়া হয় বক্সা জঙ্গলে। বর্তমানে তাই চিতল হরিণের সংখ্যা ভালোই আছে সেখানে। সেই হরিণগুলিই মাঝে মধ্যে জঙ্গল থেকে খাবার সন্ধানে লোকালয় বেরিয়ে আসে। শুক্রবার সেই রকমই ঘটনাই ঘটেছিল কালচিনি ব্লকের চিঞ্চুলা চা বাগান এলাকায়।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Weather Updates: তাপপ্রবাহ না প্রবল বৃষ্টি? পঞ্চম দফার ভোটে কেমন থাকবে জেলার আবহাওয়া?