সমীরণ পাল, উত্তর চব্বিশ পরগণা : পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ( PM Awas Yojna ) নাম। এমনকি, ফাঁকা জমি দেখিয়েও আবেদন। এবার আবাস যোজনায় একাধিক কারচুপির অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার কাউগাছিতে। অন্যায় আবেদন মঞ্জুর হবে না, দাবি করেছেন উপপ্রধান। এ যেন ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাওয়ার জোগাড়!
১০ শতাংশের বেশিই নিয়মবিরুদ্ধ!
আবাস যোজনায় অনুমোদিত তালিকার ১০ শতাংশের বেশিই নিয়মবিরুদ্ধ! প্রশাসন সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনার কাউগাছি ১ নম্বর পঞ্চায়েতে ৫৬৯টি বাড়ির অনুমোদন মিলেছে। জেলাশাসকের নির্দেশে তথ্য যাচাই করতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ আধিকারিকদের! পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও কেউ কেউ আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়। কেউ আবার ফাঁকা জমি দেখিয়েই নাম তুলে ফেলেছেন তালিকায়!
আত্মীয়ের ফাঁকা জমি দেখিয়ে ঘরের আবেদন
রাজেশ দেবনাথ, পেশায় কলমিস্ত্রি। আত্মীয়ের ফাঁকা জমি দেখিয়ে ঘরের আবেদন করেছেন। তথ্য যাচাই করতে গিয়ে দেখা গেল আবেদনের সময় যে জমির নথি দেওয়া হয়েছিল, সেই জায়গায় নতুন বাড়ি তৈরি হয়েছে। তাতে আবার মার্বেল বাসনো! তাঁর সাফাই, ' যখন আবেদন করেছিলাম তখন এই বাড়ি ছিল না। পরবর্তীকালে বাড়ি বানাই '
বরাদ্দ জমিতে বাড়ি বানিয়ে ভাড়া
কাউগাছির বাসিন্দা সঞ্জয় বিশ্বাসের বাড়িতে আবার সার্ভে করতে গিয়ে দেখা গেল, আবাস যোজনার ঘরের জন্য বরাদ্দ জমিতে বাড়ি বানিয়ে ভাড়াও বসিয়ে দিয়েছেন! ইতিমধ্যে ৪১৪ টি সমীক্ষা করা হয়েছে, তারমধ্যে ৫৪ টিতেই বেনিয়ম! বিষয়টি নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। তারকনাথ আদকের মন্তব্য (তৃণমূল নেতা ও উপপ্রধান), 'যদি কেউ এরকম অন্যায় ভাবে আবেদন করে থাকেন তাদের আবেদন মঞ্জুর করা হবে না প্রয়োজনে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
আবাস যোজনা বাড়ি প্রকল্প নিয়ে সারা রাজ্যে ভূরি ভূরি তছরুপের অভিযোগ আসছে। এবার সেই তালিকায় নতুন সংযোজন উত্তর ২৪ পরগনার কাউগাছি।
আরও পড়ুন :
শুধু সাক্ষীরা নয়, বিচারপতিও হুমকির শিকার! অনুব্রত-মামলায় বিচারপতির মুখেও প্রভাবশালী প্রসঙ্গ
অন্যদিকে, দোতলা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও পঞ্চায়েত কর্মীর পরিবারের সদস্যের নাম উঠেছে আবাস যোজনার তালিকায়। এবার ঝাড়গ্রামের নেদাবহড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে উঠল আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ। অন্যদিকে, খুদমরাই গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি পঞ্চায়েতে সদস্যার শ্বশুরের নাম উঠল আবাস যোজনার তালিকায়।