কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: জোর করে তোলা আদায়ের (extortion) অভিযোগে চাঞ্চল্য পশ্চিম বর্ধমানের (west burdwan) কালাঝরিয়ায়। অভিযোগের তির তৃণমূল নেতাকর্মীদের (tmc)দিকে। হীরাপুর (hirapur) থানায় এই মর্মে অভিযোগও জানানো হয়েছে বলে খবর। 

অভিযোগের কারণ কী?

স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, নাব্যতা বাড়াতে রাজ্য সরকার দামোদর নদ ড্রেজিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কলকাতার এক বেসরকারি ঠিকাসংস্থা ওয়েষ্ট বেঙ্গল মিনারেল অ্যান্ড ট্রেডিং কর্পোরেশন লিমিটেডের থেকে কাজটির বরাত পেয়েছে। হীরাপুরের কালাঝরিয়া এলাকায় ড্রেজিংও চলছে। কিন্তু সংস্থার বিজনেস ম্যানেজার অনুজ শর্মার অভিযোগ, গোটা প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। তোলা বাবদ দু থেকে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত চাওয়ার অভিযোগও এনেছেন তিনি। অনাদায়ে সংস্থার লোকজনদের মারধোর থেকে মেশিন তুলে নিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে বলে দাবি বিজনেস ম্যানেজারের। গ্রামবাসীদের একাংশকেও এতে ব্যবহার করা হচ্ছে। ড্রেজিং করে যে বিপুল বালি উঠছে তা লরি করে নিয়ে যাওয়ার সময়ও রাস্তায় দাঁড় করিয়ে তোলাবাজি করা হচ্ছে। কখনও রাস্তার উপর বাঁশ ফেলে গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি সংস্থার। যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ, ড্রেজিংয়ের নামে বালি লুট হচ্ছে। 

কোথায় বাধা?

সংস্থার বিজনেস হেডের দাবি, বর্ষার সময় বালুচরের ড্রেজিংয়ের কাজ বন্ধ করা যায় না। শহরের বন্যা পরিস্থিতি রোধ করা ও নদীর গতিপথ স্বাভাবিক রাখার জন্যই ড্রেজিং এর কাজ চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু তাতেই বাধা। যে সাত জনের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁদের এক জন তৃণমূলের নেতা। নাম সহদেব লায়েক। এ ব্যাপারে তাঁর উত্তর চাওয়া হলে বলেন, 'আমরা কোনও রকম তোলা চাইনি। কাজও বন্ধ করিনি। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। হীরাপুর থানার পুলিশ জানেন কারা ওখানে তোলা তোলে।' তৃণমূল জেলা সভাপতি বিধান উপাধ্যায়ের আবার বক্তব্য, তাঁদের কাছে তোলাবাজির কোনও খবর নেই। সুর চড়িয়েছে আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁর কটাক্ষ, 'দলটার নাম তৃণমূল নয়, তোলামূল হয়ে গিয়েছে।'

আরও পড়ুন:অদূর ভবিষ্যতে নতুন অনেক শিল্প আর চাকরি পাহাড়ে, জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী