কলকাতা: প্রথম দিনের পর পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) মনোনয়ন পর্বের দ্বিতীয় দিনেও তুমুল অশান্তি। জেলায় জেলায় অশান্তির ছবিই ধরা পড়ছে বারবার। শনিবারেও (Saturday) একাধিক জেলায় শাসক- বিরোধী অশান্তিতে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হল। এই পরিস্থিতিতে অভিযোগের ভিত্তিতে রিপোর্ট চাইল রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। 


এদিন, পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় বিজেপিকে মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। বিজেপি প্রার্থী ও নেতা কর্মীদের মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ। কাঁদতে কাঁদতে বিজেপি-প্রার্থী ও নেতারা মনোননয়ন জমা না দিয়েই ফিরে আসেন বলে দাবি। বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। 


অন্যদিকে, বীরভূমের লাভপুরে মনোনয়ন জমা দিতে এসে ব্যাপক গন্ডগোল। বিজপির মণ্ডল সহসভাপতি সোমনাথ মণ্ডলকে প্রচণ্ড মারধরের অভিযোগ। সোমনাথ মণ্ডলের হাত-পা ভেঙে দেওযা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।                                


এদিকে, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে মনোনয়ন ঘিরেও অশান্তির আবহ তৈরি হয়েছে। বিজেপি প্রার্থীদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির বিষ্ণুপুর গ্রামীণ মণ্ডল ১-এর সভাপতি তপন মাজুরির নেতৃত্বে এদিন ৫০ জন বিজেপি প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে যান। বিডিও অফিসে ঢোকার আগেই তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। 


মনোনয়ন ঘিরে আসানসোলের বারাবনিতে উত্তেজনা তৃণমূল ও সিপিএম কর্মীদের সংঘর্ষ হয় এদিন। বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে আসার সময় দুই দলের সংঘর্ষ। একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছে তৃণমূল ও সিপিএম
পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 


অন্যদিকে, রাজ্যে ৪২ হাজার পুলিশ দিয়ে ৭০ হাজার বুথে এক দিনে ভোট করাবে! এ তো মৃত্যুকে ডেকে আনা। আধাসেনা দিয়েই ভোট হবে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বাড়বে। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। পাশাপাশি রাজভবনে সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পাল-সহ বিজেপির প্রতিনিধিদল। বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের পরের দিনই পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা এবং এক্ষেত্রে বিরোধী দলগুলির সঙ্গে আলোচনা না করেই এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানাতেই রাজভবনে বিজেপির প্রতিনিধিদল। খবর সূত্রের। দলে রয়েছেন একাধিক বিজেপি বিধায়ক।  


 


আরও পড়ুন, নিজের হাতে ৮ হাজার গাছকে সন্তানস্নেহে পালন, ১১২ বছরেও কীর্তি গড়ে চলেছেন ভারতের 'বৃক্ষ-মাতা'