পার্থ প্রতিম ঘোষ, আমতা: সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্সের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আনিসের (Anis Khan) বাড়িতে সিটের সদস্য। সঙ্গে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। ছিলেন বারাসাতের জেলা আদালতের বিচারক। আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিলেন তদন্তকারীরা। ঘটনাস্থল পরীক্ষা করলেন সিএফএসএলের বিশেষজ্ঞরা।
১৭ দিন আগে একটি মৃত্যু। আর সেই মৃত্যুর ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন। কীভাবে মৃত্যু হল? তদন্তে রাজ্য সরকার সিট গঠন করে। গত ১৫ দিন ধরে ছাত্রনেতার মৃত্যু কীভাবে হল তার তদন্ত করছে। ইতিমধ্যে মামলা গড়িয়েছে হাইকোর্ট পর্যন্ত। ১৫ দিন পর সিটের রিপোর্ট পেশ করার কথা থাকলেও ১০ মার্চ হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করবে সিট। পরিবারের অভিযোগ, ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে পুলিশই আনিসকে খুন করছে। সিটের তদন্তকারীরা তদন্ত করে দেখছেন পরিবারের অভিযোগ সত্যি না কি প্রাণ বাঁচাতে ঝাঁপ দেন না আত্মহত্যা করেন? না কি দুর্ঘটনা? এদিন সিটের দুই তদন্তকারী অফিসার সহ আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিলেন তদন্তকারীরা।
ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যু হল কীভাবে? খুন, দুর্ঘটনা না অন্য কিছু? এখনও কাটেনি রহস্যের জট। যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের সদস্যরা। শনিবার ফের তাঁরা আনিসের বাড়িতে যান। ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ঠিক কী ঘটেছিল? সেই সময় আনিসের পরিজনরা বাড়িতে কে কোথায় ছিলেন? আগেই এবিষয়ে পরিবারের সদস্যদের কাছে জানতে চান সিটের সদস্যরা। এরপর আনিসের প্রতিবেশীদের বয়ান রেকর্ড করা হয়। এদিকে সিটের তৎপরতার মধ্যেই পুলিশকে ফের কাঠগড়ায় তুলেছেন আনিসের বাবা। আনিসের বন্ধুবান্ধবদের থানা থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগও করেছেন আনিসের বাবা সালেম খান। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে, হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের দাবি, এবিষয়ে তাদের কিছু জানা নেই। অভিযোগ লিখিত ভাবে দিলে তা অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে। এদিকে, সিটের তদন্ত নিয়ে ফের অনাস্থা প্রকাশ করেছেন আনিসের বাবা।