সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) জামিনের সপক্ষে সওয়াল তাঁর আইনজীবী কপিল সিব্বল (Kapil Sibal)। অনুব্রতর আইনজীবীর দাবি, গরু পাচার (Cattle Smuggling Case) মামলায় মূল অভিযুক্তই নন অনুব্রত। শুধু অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে এমনই জানালেন কপিল। এই মামলায় হলফনামা জমা দিতে আরও সময় দেওয়া হয়েছে সিবিআই-কে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি (Calcutta High Court)।
মামলায় হলফনামা জমা দিতে আরও সময় দেওয়া হয়েছে সিবিআই-কে
গরুপাচার মামলায় অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর কেটে গিয়েছে ১১১ দিন। অগাস্ট থেকে নভেম্বর, ১১০ দিন জেলে রয়েছেন অনুব্রত। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতির জামিনের আবেদনের শুনানি শুরু হয়। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর এজলাসে অনুব্রতর জামিনের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল।
ভার্চুয়াল মাধ্যমে জামিনের আবদেনের সপক্ষে সিব্বল জানান, গরু পাচারের মামলায় মূল অভিযুক্ত এনামুল হক সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। জামিন পেয়েছেন BSF আধিকারিক সতীশ কুমারও। কিন্তু, অনুব্রত মণ্ডল প্রায় ১১০ দিন জেলে আছেন। এই মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। কিন্তু, অনুব্রত মণ্ডল মূল অভিযুক্ত নন। শুধু অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আছে।
তাতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী জানতে চান, "আপনার মক্কেলের বিরুদ্ধে কতগুলি মামলা দায়ের হয়েছে"? সিব্বল জবাব দেন, "দু’টি মামলা। একটি গরু পাচারের মূল মামলা। অপর মামলাটি PMLA অর্থাৎ আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইনে।"
এর জবাবে বিচারপতি জানতে চান, PMLA মামলায় আপনার মক্কেল কতদিন জেলে আছেন? অনুব্রতর আইনজীবী জানান, ১৭ নভেম্বর থেকে। বিচারপতি বলেন, "তাহলে তো একমাসও হয়নি!" বিচারপতি সিবিআই আইনজীবীর বক্তব্য জানতে চাইলে, তিনি বলেন, "হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য আমাদের সময় দেওয়া হোক।" এ দিন সিবিআই-এর আবেদন মঞ্জুর করে বিচারপতি নির্দেশ দেন, এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৬ ডিসেম্বর।
১১ অগাস্ট গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই
১১ অগাস্ট গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পর থেকে তিনি আসানসোল জেলে বন্দি। প্রভাবশালী তত্ত্বে একাধিকবার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। অন্য দিকে, অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করে দিল্লি নিয়ে গিয়েছে ইডি।অনুব্রতকেও দিল্লি নিয়ে যেতে চায় তারা। তা নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আইনি লড়াই চলছে। এই পরিস্থিতিতেই জামিন পেতে মরিয়া বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি হাইকোর্টের দ্বারস্থ।