মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, আসানসোল: বিচারকের কাছে জামিনের কাতর আর্জি গরুপাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি জানান, শরীরে যন্ত্রণা রয়েছে। পাশাপাশি ব্যালেন্স পাচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি।


জামিনের কাতর আর্জি: গত বছর অগাস্টে গরু পাচার মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করে অনুব্রত মণ্ডলকে। এককালের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার আপাতত ঠিকানা তিহাড় জেল। এদিনের শুনানিতে অনুব্রতর কাছে বিচারক জানতে চান, তাঁর কিছু বলার আছে কি না? জবাবে জামিনের কাতর আর্জি জানান অনুব্রত মণ্ডল। একইসঙ্গে বলেন, “শরীর ভাল যাচ্ছে না। গোটা শরীরে যন্ত্রণা, শরীরে ব্যালেন্স পাচ্ছি না।’’ বিচারক জানতে চান, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কিনা। অনুব্রত বলেন, হ্যাঁ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরপরই বিচারকের কাছে জামিনের ব্যবস্থা করুর আর্জি জানান বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। বিচারক বলেন, কলকাতা হাইকোর্ট আপনার জামিনের আবেদন খারিজ করেছেন। আগে ওখানে জামিন পান। তারপর দু'পক্ষের বক্তব্য় শুনে সিদ্ধান্ত নেব।


এদিকে সায়গল হোসেনের স্কুল শিক্ষিখা স্ত্রীর কেনা গয়নার পরিমাণ নিয়ে বিস্মিত আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক। গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে সায়গল হোসেনের কাছ থেকে ৩৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭০৯ টাকার সোনা ও রুপোর গয়না বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই। সায়গলের স্ত্রী দাবি করেন বেশ কিছু গয়না তাঁর।এদিন আদালতে সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিক জানান, ৭০ হাজার টাকা মূল্য়ের সোনার ও ১৭ হাজার টাকা মূল্য়ের রুপোর গয়না গরু পাচারের আগে কেনা হয়। সেগুলির রসিদ পাওয়া গিয়েছে। বাকি গয়নার রসিদ পাওয়া গেলেও তা তাঁদের দোকানের নয় বলে জানিয়েছেন গয়নার দোকানের মালিকরা। সায়গলের আইনজীবী শেখর কুণ্ডু আদালতে বলেন, তাঁর মক্কেলের স্ত্রী প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করেন। তখন বিচারক জানতে চান তাঁর বেতন কত যে তিনি ৬ বছরে ৩৬ লক্ষ টাকা মূল্য়ের গয়না কিনবেন?


গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই তিহাড় জেলে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল ও সায়গল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। এবার তিহাড়ে অনুব্রত ও তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষীকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বুধবার আসানসোল সিবিআই আদালতে গরু পাচার মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিক একথা জানিয়েছেন। এদিন মামলার শুনানি শুরু হওয়ার পর অনুব্রত ও সায়গলকে জেরা করে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তা আদালতে পেশ করে সিবিআই। বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী জানতে চান ২ জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে কি?  জবাবে সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিক আদালতে জানান, গত মে মাসের শেষে ২ জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা সম্ভব হয়নি। সায়গল হোসেন প্রথমে জেরার সম্মুখীন হন। পরে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করা হয়।এরপর ই তদন্তকারী অফিসার জানান, তাঁরা তিহাড়ে গিয়ে দু'জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চান। সূত্রের খবর, এবিষয়ে দ্রুত আদালতে আবেদন করবে সিবিআই।


আরও পড়ুন: Viral Video: মিটিংয়ে ধমক, হেনস্থা, অভব্য আচরণ! ভিডিও ভাইরাল হতেই সাসপেন্ড