সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: বগটুই (Bogtui) কাণ্ডে অনুব্রত মন্ডল (Anubrata Mondal) যোগ? সিবিআইয়ের (CBI) দাবি ঘিরে এবার নয়া মোড় তদন্তে। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত করে দেখতে চাইছে সিবিআই। এদিন আদালতে সিবিআই দাবি করে, 'ঘটনার দিন ও পরের দিন ২ বার ফোনে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কথা। অনুব্রতর সঙ্গে কথা হয়েছে অন্যতম মূল অভিযুক্ত আনারুলের'। 


সিবিআইয়ের তরফে আরও বলা হয়,  '২১ মার্চ রাত ৮:৫০ এবং ২২ মার্চ। দুবার ফোনে অনুব্রত-আনারুলের কথা হয়, হলফনামায় দাবি সিবিআইয়ের। বগটুই হত্যাকাণ্ডে ১১জনকে পুড়িয়ে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার তৃণমূলের অপসারিত ব্লক সভাপতি। বগটুইকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই গ্রেফতার হন তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আনারুল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার হন আনারুল হোসেন। আনারুলের বিরুদ্ধে নিহত তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের ঘনিষ্ঠদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ।


আনারুলের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করা হয়েছিল সিবিআইয়ের চার্জশিটে। 'বাড়িতে আগুন লাগানোর পরে আনারুলকে ফোন কয়েকজন গ্রামবাসীর। কিছু করার নেই, যা হয়েছে, তারপর এটা হবেই, এমনই বলেছিলেন আনারুল'। বগটুইয়ে পুলিশের দেরিতে পৌঁছনোর নেপথ্যেও আনারুল ছিল বলে দাবি সিবিআইয়ের।                                                                                    


আরও পড়ুন, 'অতিরিক্ত ২ নম্বর দিয়েছে এসএসসি', আবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ ববিতার


বগটুই এলাকায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুলই ছিলেন কার্যত শেষ কথা। তাঁর অধীনে ৯টা পঞ্চায়েত এলাকা পড়ে। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে এই ৯টা পঞ্চায়েতে বিরোধীরা কোনও মনোনয়ন দিতে পারেনি বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে খবর, আনারুল ছিলেন রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ।                                           


আনারুলের বিরুদ্ধে নিহত তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের ঘনিষ্ঠদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, বাড়িতে আগুন লাগানোর পরে আনারুলকে ফোন করেন কয়েকজন গ্রামবাসী। কিছু করার নেই, যা হয়েছে, তারপর এটা হবেই, এমনই বলেছিলেন আনারুল।  বগটুইয়ে পুলিশের দেরিতে পৌঁছনোর নেপথ্যেও আনারুল, তেমনটাই উল্লেখ করা হয় সিবিআইয়ের চার্জশিটে।