প্রকাশ সিনহা, বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি: তিহাড়ে (Tihar Jail) মন টিকছে না অনুব্রতর। আসানসোল (Asansol) জেলে ফিরতে চাইছেন বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল (TMC) সভাপতি। ইতিমধ্যেই আদালতে আবেদন জানিয়েছে তিনি। আগামী ৮ই মে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে সেই মামলার শুনানি। তার আগে, বুধবার, দিল্লিতে (Delhi) ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিলেন, আসানসোল জেলের (Asansol Jail) সুপার কৃপাময় নন্দী (Kripamay Nandi)।
যাবতীয় নথি নিয়ে হাজিরা: ইডি (ED) সূত্রে খবর, কৃপাময়ের ১০ বছরের ব্য়াঙ্ক স্টেটমেন্ট তাঁর ও তাঁর পরিবারের নামে কোথায় কী সম্পত্তি রয়েছে, ইনকাম ট্য়াক্স রিটার্নের কপি নিয়ে তাঁকে হাজির হতে বলা হয়। ইডি (Enforcement Directorate) সূত্রে দাবি, র আগে, বিভিন্ন জনের বয়ান থেকে উঠে এসেছে, জেলের ভিতর অনুব্রত মণ্ডলের কাছে টাকা পৌঁছত। অভিযোগ, জেলের ভিতর থেকে মোবাইল ফোনে কথা বলতেন বীরভূমের জেলা সভাপতি।
প্রকাশ্য়ে এই অভিযোগ তুলেছিলেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ (Kajal Seikh)। বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল নেতা কাজল শেখের কথায়, জেলে বসে ফোনে কথা বলেন অনুব্রত। জেলে বিকাশদার সঙ্গে অনুব্রতর কথা হয়। যার জন্য় বিকাশ দা বলছেন কেষ্টদার সঙ্গে কথা হচ্ছে।
কী প্রশ্ন সুপারকে? সূত্রের খবর, এদিন জেল সুপারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, আসানসোল জেলে অনুব্রতর কাছে মোবাইল ফোন ও টাকা পৌঁছেছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা কে পৌঁছে দিত?জেলের ভিতর অনুব্রত বিভিন্ন রকম সুযোগ সুবিধা পেতেন বলে অভিযোগ। এই সব ক্ষেত্রে তাঁর কি কোনও ভূমিকা আছে? তাঁর সঙ্গে কি কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছিল? অনুব্রতর মামলার বিপুল খরচ কে জোগাচ্ছে?
সূত্রের খবর, এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে চান ইডি (Enforcement Directorate) আধিকারিকরা। এর আগে, ৭ মার্চ আসানসোল জেল থেকে কলকাতা নিয়ে আসার পথে, শক্তিগড়ের একটি হোটেলে ব্রেকফাস্ট সারেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) সেখানে ব্রেকফাস্ট টেবিলে তাঁর সঙ্গে দেখা যায় টিএমসিপি (TMCP) নেতা কৃপাময় ঘোষ ও সুকন্য়ার গাড়ির চালক তুফান মিদ্যাকে। সূত্রের খবর, পুলিশের হেফাজতে থাকা অনুব্রতর ব্রেকফাস্ট টেবিলে কীভাবে তাঁরা পৌঁছেছিলেন? তা নিয়েও প্রশ্ন করা হয় আসানসোল জেলের সুপারকে।