রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি:মূর্তি (Murti) নদীর স্রোতে ভেসে আসা একটি হস্তিশাবককে (Baby Elephant) উদ্ধার করলেন খুনিয়া রেঞ্জের বনকর্মীরা। নাগরাকাটা (Nagrakata) ব্লকের পানঝোরা বনবস্তির কাছে হদিশ মেলে হস্তিশাবকের। তাকে উদ্ধারের (rescue) ঘটনায় সাময়িক ভাবে আশপাশে হইচই পড়ে যায়।


কী হয়েছিল?
সকাল সাড়ে সাতটা। হঠাতই পানঝোরা বনবস্তির কয়েকজন বাসিন্দা খেয়াল করলেন, মূর্তির জলে হিমসিম খাচ্ছে এক হস্তিশাবক। সময় নষ্ট করেননি তাঁরা, খবর দেন বনকর্মীদের। তাঁরা দ্রুত এসে শাবকটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। পরে জানা যায়, হাতির দল মূর্তি পেরিয়ে চাপরামারির জঙ্গল থেকে কিলকোট চা-বাগানের দিকে গিয়েছিল। তখন অবশ্য় জলের তোড় বেশি ছিল না। কিন্তু রাতভর মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় নদীর জল বেড়ে যায়। তাতেই বিপত্তি। বনকর্মীদের ধারণা, চা বাগান থেকে ফেরার পথে মূর্তির স্রোতে ভেসে গিয়েছিল মাসখানেকের ওই হস্তিশাবক। তবে খুনিয়া রেঞ্জের রেঞ্জার প্রদ্যুৎ সরকার জানিয়েছেন, আপাতত তাকে গরুমারা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 


অতীতেও উদ্ধার বার বার...
আগেও একাধিক বার নানা পরিস্থিতি থেকে হস্তিশাবককে উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা। তবে বছরদুয়েক আগেকার একটি ঘটনার সঙ্গে আজকের সবিশেষ মিল পাচ্ছেন অভিজ্ঞ বনকর্মীরা। ২০২০-র সেপ্টেম্বর। সে বার আলিপুরদুয়ারে তোর্সা নদী থেকে একটি হস্তিশাবককে উদ্ধার করেন বনকর্মীরা। তোর্সা ওয়াচ টাওয়ার থেকে বনদফতরের কর্মীরা দেখেছিলেন, নদীর প্রবল স্রোতে শাবকটি ভেসে যাচ্ছে। ওই দৃশ্য থেকে নিজেদের আর আটকে রাখতে পারেননি তাঁরা। নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই নদী থেকে ৭ দিন বয়সি ওই হস্তিশাবককে উদ্ধার করেন। বন দফতর জানিয়েছিল, আপাতত তাকে কোদালবস্তি রেঞ্জ অফিসে রেখে লালনপালন করা হবে। গত জুন মাসে আবার দলছুট এক হস্তিশাবককে শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ির ঝাপুজোত এলাকা থেকে উদ্ধার করেন বনকর্মীরা। তবে তার আগে বেশ মেহনত করতে হয়। কোনও ভাবেই যাতে তার আঘাত না লাগে সে ব্যাপারে সজাগ ছিল বন দফতর।
এবারও মূর্তি থেকে বনকর্মীদের তৎপরতাতেই প্রাণ বাঁচল হাতির ছানার।


আরও পড়ুন:পিক আপ ভ্যানে শর্ট সার্কিট, চ্যাংরাবান্ধায় মর্মান্তিক মৃত্যু ১০ পুণ্যার্থীর