রাজা চট্টোপাধ্যায়, বানারহাট: জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বানারহাটে ভ্যাকসিনের (Vaccine) লাইনে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় বিডিও ও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক শোকজ করা হয়েছে। গতকাল ঘটনাস্থলে যান অতিরিক্ত জেলাশাসক বিবেক বাসমে ও পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত। পুলিশের দাবি, তদন্তে জানা যায়, ৫০০ জনের টিকাকরণের কথা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে স্কুল কর্তৃপক্ষকে আগে থেকে জানানো হয়নি। সেই কারণেই গেট খুলতে দেরি হয়। গেট খোলার পর হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হন ১৯ জন। এই ঘটনায় বানারহাটের বিডিও প্রহ্লাদ বিশ্বাস ও ধূপগুড়ির ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরজিৎ ঘোষকে শোকজ করেছেন জেলাশাসক। এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। রাজ্য প্রশাসনের গাফিলতিতেই এই ঘটনা বলে দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ। গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। 


ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে দৌড়। আর দৌড়াতে গিয়ে কারও ফাটল মাথা, কেউ পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হলেন, কারোর আবার চোট লাগল। ভ্যাকসিন সেন্টারে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা জলপাইগুড়িতে। আর এই ভ্যাকসিন নিতে গিয়েই ১৯ জন পদপিষ্ট। গতকালই বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আহতদের। সাতজনের মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় গতকাল রাতে তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয় জলপাইগুড়ি জেলা সুপার স্পেশালিটি  হাসপাতালে।


আরও পড়ুন: খাওয়াদাওয়ায় সমস্যা! বিশ্বভারতীর উপাচার্যে গেটে দুধ-কলা রেখে এলেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা


বিভিন্ন জেলা থেকে, ভ্যাকসিনেশন শিবিরে বিশৃঙ্খলার ছবি সামনে আসার পর নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন। মঙ্গলবার সন্ধেয় সমস্ত জেলার জেলাশাসক, পুলিশকর্তা এবং জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। নবান্ন সূত্রে খবর, বৈঠকে ঠিক হয়েছে ভিড় সামাল দিতে কুপন ছাড়া ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। অন্তত ১-২ দিন আগে কুপন দিয়ে দিতে হবে। কুপন ছাড়া কেউ আসতে পারবে না। পর্যাপ্ত জায়গা নিয়ে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প করতে হবে। প্রয়োজনে পুলিশ মোতায়েন রাখতে হবে। থানার IC-দের ভ্যাকসিনেশনের জায়গা সম্পর্কে তথ্য রাখতে হবে। এদিন বৈঠকে ধূপগুড়ির ঘটনা নিয়ে মুখ্যসচিব উদ্বেগ প্রকাশ করেন বলেও সূত্রের খবর।


আরও পড়ুন: সোনারপুরে ভ্যাকসিনের কুপন বিলিকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি পঞ্চায়েত অফিসে