হাওড়া: রণক্ষেত্র হাওড়ার বাঁকড়া (Howrah TMC Innerclash)। তৃণমূলের গোষ্ঠী (TMC Infighting) সংঘর্ষ ঘিরে জল্পনা। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধানের অনুগামীদের উপর হামলা চলেছে। সন্দেহের নিশানায় তৃণমূল প্রধান ঘনিষ্ঠেরা। পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের বাড়িতেও ইটবৃষ্টি হয়। গাড়িতে ভাঙচুর চলে। প্রতিবাদে গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধানের নেতৃত্বে হাওড়া-আমতা রোড অবরোধ করা হয়। একটি ক্লাবের ঘটনাকে ঘিরে গন্ডগোল হয়েছিল, অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করলেন প্রধান।
কী অভিযোগ?
বাঁকড়া ১ নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান সামিনা বেগম বললেন, 'শুনলাম দু'পক্ষের ঝামেলা হয়েছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ফোন করি। পুলিশ এল, কিন্তু ওরা পুলিশকেই ধাক্কা দিচ্ছে। বলছে, তোমাদের কোনও কথা এখানে চলবে না। প্রধান যা বলবেন, তাই হবে।' যদিও পঞ্চায়েত প্রধান কোনও অভিযোগ মানতে চাননি। জানান, একটি ক্লাবের ঘটনা ঘিরে গণ্ডগোল হয়েছিল।এই রাজ্যে শাসকদলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জল্পনা নতুন নয়। অক্টোবর মাসের শেষ দিকে যেমন, ২ তৃণমূল কাউন্সিলরের অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষে খড়দার পুরানিবাজারে এক তৃণমূল কর্মী মারা যান বলে অভিযোগ হয়। একই ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় টিটাগড় পুরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের। ২ কাউন্সিলরের অনুগামীদের মধ্য়ে গন্ডগোলের কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন টিটাগড় পুরসভার প্রধানও।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মৃত্যুর ঘটনা...
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সে দিন দুপুরে পুরানিবাজারে দুই কাউন্সিলরের অনুগামীদের মধ্যেই ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল। সেই সময়ই গুরুতর জখম হন, তৃণমূল কাউন্সিলর বিকাশ সিংয়ের অনুগামী বলে পরিচিত আকাশ। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। আহত হন বিকাশ সিংয়েরই আরেক অনুগামী। আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী রৌনক পাণ্ডের দাবি, 'সোনু সাউ ডেকেছিল আমায়। আমি যাইনি।' কিন্তু কে এই সোনু সাউ? রৌনক পাণ্ডের কথায়, 'সোনু সাউ কাউন্সিলর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের।' তিনি কোন দলের? রৌনক পাণ্ডেই জানান সোনু সাউ তৃণমূলেরই। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় খড়দা থানার পুলিশ। খড়দা থানার আইসিকে ফের বলতে শোনা যায়, 'তোমাদের সামনে ডেকে আমি বসে বলেছি, যে এখন ইলেকশন। তোমাদের বোঝা উচিত। ভাইয়ে ভাইয়ে লড়াইও ঠিক করে নেওয়া উচিত।' খড়দা থানার আইসির সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় তৃণমূল কাউন্সিলর সোনু সাউয়ের। টিটাগড় পুরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সোনু সাউকে বলতে শোনা যায়, 'আপনি এসে আমাকে ধমকাবেন, এটা ঠিক না।' আইসি পাল্টা বলেন, 'তোমার ধমকি শোনার জন্যও বসে নেই আমি। ... তোমার মতো ৪৪ খানা কাউন্সিলর আছে আমার। বেআইনি কাজ করবে না।'
কিন্তু সব কিছুর পরও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জল্পনা কমছে কই?
আরও পড়ুন:বিরল সৌজন্য? রাস্তা তৈরির সূচনা অনুষ্ঠানে পাশাপাশি হাজির তৃণমূল নেতা ও বিজেপি বিধায়ক