পূর্ণেন্দু সিংহ ও তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া : পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) দিকে তাকিয়ে বাঁকুড়া (Bankura) জেলায় তৃণমূলের সংগঠনে বড়সড় রদবদল করা হয়েছে। পঞ্চাশ শতাংশের বেশি ব্লকে সভাপতি পদে আনা হয়েছে নতুন মুখ। এই আবহে পদহারা তৃণমূল নেতাদের বিজেপিতে আহ্বান জানালেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan)। তা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।


কী বলছেন বিজেপি সাংসদ ?


বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বার্তা দিয়েছেন, বিষ্ণুপুর লোকসভার মধ্যে যাঁরা যাঁরা তৃণমূলে ছিলেন, জায়গা পাচ্ছেন না, আপনারা আমাদের সাথ দিন। জায়গা ফাঁকা আছে।


যদিও এপ্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। জয়পুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কৌশিক বটব্যাল বলেন, যে নিজের স্ত্রীকে বাগাতে পারে না, সে অন্য দলের সম্পর্কে কী কথা বলবে !


আরও পড়ুন ; সুজাতাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন সৌমিত্র? বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূল নেত্রীর


ইস্যু যাই হোক না কেন, বিজেপি-তৃণমূল কথার লড়াই যেন লেগেই রয়েছে ! বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেদিকে তাকিয়ে আর পাঁচটা জেলার মতো বাঁকুড়াতেও তৃণমূলের সংগঠনে বড়সড় রদবদল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে ব্লক নেতৃত্বের নতুন তালিকা। ঘাসফুল শিবির সূত্রে খবর, বাঁকুড়া জেলায় ব্লক নেতৃত্বে ৫০ শতাংশের বেশি নতুন মুখ আনা হয়েছে। বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার আওতাভুক্ত ১৫টি ব্লকের মধ্যে ৮টি ব্লকেই তৃণমূল সভাপতি বদল করা হয়েছে। অন্যদিকে, বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার আওতাভুক্ত ৯টি ব্লকের মধ্যে ৭টি ব্লকেই নতুন মুখ আনা হয়েছে। 


স্বাভাবিক ভাবেই পদ খুইয়েছেন অনেক পুরনো নেতা। এই আবহে কৌশলী আহ্বান শোনা গিয়েছে বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর মুখে। তিনি বার্তা দিয়েছেন, তাঁরা তৃণমূলের বি টিম হয়ে থাকুন। ভোটের সময় আমাদের হয়ে কাজ করবেন। আপনাদের স্বাগত জানাব আমরা।


তাঁর মন্তব্য নিয়ে অবশ্য পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি তৃণমূল। কৌশিক বটব্যাল বলেছেন, সৌমিত্র খাঁকে বলুন ২০২৪ এর ভোটে জিতে দেখাতে। আগে ও সুজাতা মণ্ডল খাঁ আমাদের যে নেত্রী আছেন, আগে তার মোকাবিলাটা করুক।


গত বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর স্ত্রী সুজাতা তৃণমূলে যোগ দেন। তা নিয়ে দু’জনের সম্পর্কে অনেক টানাপোড়েন পর্ব চলে। পরস্পরের বিষয়ে মুখ খুলতে গিয়ে, কান্নায় ভেঙেও পড়েছিলেন দু’জনে।


বিধানসভা ভোট এখন অতীত। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। কিন্তু রাজনীতির আঙিনায় তাঁদের সেই টানাপোড়েন এখনও রাজনৈতিক আক্রমণের হাতিয়ার।