তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: ১০০দিনের কাজের বকেয়া টাকা আদায়ে বাঁকুড়ার জয়পুরে উপভোক্তাদের কাছ থেকে তথ্যসংগ্রহের কাজ শুরু করল তৃণমূল (TMC)। চলতি মাসেই জনসংযোগ যাত্রায় বাঁকুড়ায় আসছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেখানে তাঁর হাতে এই তথ্য তুলে দেওয়া হবে বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। ভোটের আগে ফের লুঠের প্রয়োজন বলে ভাঁওতাবাজি, পাল্টা সুর চড়িয়েছে বিজেপি (BJP)।


'১০০ দিনের টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে'


তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচিতে বেরিয়েছেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের টানা ২ মাসের জনসংযোগ যাত্রা চলছে। প্রায় প্রত্যেক সভাতেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগে সরব হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেছিলেন, '১০০ দিনের টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে। একমাত্র বাংলার টাকা আটকে রেখেছে। তিনি আরও বলেছিলেন, প্রত্যেক বুথে কারা ১০০ দিনের কাজ করেও পাওনা টাকা থেকে বঞ্চিত, তার একটি তালিকা তৈরি করুন। ১ মাস পর, ৫০ হাজার লোক নিয়ে, ১ কোটি চিঠি নিয়ে দিল্লি যাব।' 


'বকেয়া' আদায়ের প্রস্তুতি


১৯ মে বাঁকুড়ার কোতুলপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসার কথা রয়েছে। সেখানেই তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা থেকে বঞ্চিত শ্রমিকদের তথ্য। জোর কদমে শুরু হয়ে গিয়েছে তারই প্রস্তুতি। জয়পুর ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্ব বুথে বুথে ঘুরে বঞ্চিতদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে। অভিষেকের হাতে এই তথ্য তুলে দেওয়া হবে বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। জয়পুর তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি কৌশিক বটব্যাল বলেছেন,'কাজ করে যারা বঞ্চিত তাদের তালিকা তৈরি করছে। অভিষেকের নির্দেশ অনুযায়ী সেসব তথ্য লিপিবদ্ধ করছি। বাংলার মানুষ পয়সা পাক।' তবে তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ? 


'ভোটের জন্য আবার টাকার প্রয়োজন পড়েছে', কটাক্ষ বিজেপির


বিজেপি বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি নীরজ কুমার বলেছেন, ১০০ দিনের টাকা নিয়ে যুবরাজ ভাঁওতাবাজি করছেন। তৃণমূল নেতারা ১০০ দিনের টাকা লুঠ করছে। ভোটের জন্য আবার টাকার প্রয়োজন পড়েছে। শেষপর্যন্ত কি ১০০ দিনের টাকা পাবেন জবকার্ড হোল্ডাররা? নাকি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এ নিয়ে রাজনীতিই চলবে? প্রশ্ন উঠছে।