তুহিন অধিকারী ,বাঁকুড়া: রাতের অন্ধকারে দুঃসাহসির চুরির ঘটনা ঘটলো বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়ের থানার রসুলপুর বাজারে (Robbery in Gold Shop) । সোনার দোকানে চুরির ঘটনা ধরা পড়লো দোকানে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় (CCTV)। ক্যামেরায় দেখতে পাওয়া যাচ্ছে দুজন ব্যক্তি প্রথমে সোনার দোকানে থাকা তিনটি গেটের তালা ভেঙে একটি ব্যাগ নিয়ে ভেতরে ঢোকে। এরপর লুটপাট চালায় সোনার দোকানে থাকা বিভিন্ন মূল্যবান জিনিস নিয়ে চম্পট দেয় চোরের দল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে পাত্রসায়ের থানার পুলিশ।


সোনার দোকানদার জানাচ্ছেন, প্রতিদিন আটটা থেকে নটার মধ্যে দোকান বন্ধ করে পাশেই বাড়িতে চলে যান। গতকাল রাতেও ঠিক নটার সময় দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যাওয়ার পর সকালবেলা যখন সাতটার পর দোকানে কাজের ছেলে দোকান খুলতে আসে তখন দেখে দোকানের তিনটি গেটের তালা ভাঙ্গা এবং খোলা অবস্থায় রয়েছে। ভেতরে ঢুকলে চুরির ঘটনা সামনে আসে। এরপর তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পাত্রসায়ের থানায়। ঘটনাস্থলে আসে পাত্রসায়ের থানার পুলিশ। দোকানদার জানাচ্ছেন দোকানে থাকা কিছু পরিমাণে সোনা এবং রুপোর অলংকার নিয়ে চোরের দল প্রায় তিন থেকে চার ঘন্টা অপারেশন চালায়। সম্পূর্ণ বিষয়টি সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে তদন্ত শুরু করেছে পাত্রসায়ের থানার পুলিশ।


সম্প্রতি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরে সোনার দোকানে অভিনব উপায়ে চুরি করে পালাল দুই যুবক। পুলিশ সূত্রে খবর, কামালগাজির মোড়ে ওই সোনার দোকানে মাদুলি কিনতে গতকাল দুপুরে দুই যুবক আসে। রুপোর মাদুলি কিনে তারা টাকাও দেয়। তারপর কথায় কথায় দোকান মালিককে ব্যস্ত রেখে লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না হাতসাফাই করে। দুই যুবক চলে যাওয়ার পর বিষয়টি নজরে পড়ে মালিকের। গোটা ঘটনা ধরা পড়েছে দোকানের সিসি ক্যামেরায় । নরেন্দ্রপুর থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। 


আরও পড়ুন, 'এটা উত্তরপ্রদেশ নয়, বাংলায় অপরাধের তদন্ত হয়', শ্যুটআউটকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া ফিরহাদের


পুলিশ সূত্রে খবর, দুই অভিযুক্ত প্রায় প্রায় ১৫০ গ্রাম সোনার গয়না চুরি করে চম্পট দেয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তাদের দুজনের মাথায় টুপি ছিল। মূলত হিন্দিতেই কথা বলতে থাকে। মাদুলি কেনার পর তার টাকাও মিটিয়ে দেয়। কিন্তু এরপর সোনার গয়না কেনার জন্য দোকান মালিককে গয়না দেখাতে বলে। সেই ফাঁকে  থাকা ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের সোনার গয়না নিয়ে নেয়। অভিযোগ জানানোর পর সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্তে নামে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।