পূর্ণেন্দু সিংহ, ওন্দা : 'দিদির দূত' (Didir Doot) নয়, দিদির ভূত। এরা গেলে বাড়িতে আটকে রেখে ভূত তাড়ানোর মতো করে ঝাঁটা, গোবর দিয়ে খাতির করবেন। কলার ধরে জানতে চাইবেন, আবাসে কেন ঘর মেলেনি। ফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) অমরনাথ শাখা। পাগলের প্রলাপ বলে পাল্টা তোপ দেগেছে তৃণমূল।
"দিদির দূত নয়, এরা হচ্ছে দিদির ভূত। প্রত্যেকটা হচ্ছে দাগী মাল, আসামি, চোর।" দিদির দূতদের এভাবেই ফের নিশানা করলেন বিজেপি বিধায়ক। পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনসংযোগ বাড়াতে দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূল। দরজায় দরজায় দিদির দূত হয়ে যাচ্ছেন বিধায়ক, সাংসদরা। কোথাও কোথাও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে শাসকদলের নেতাদের। এই আবহে শনিবার বাঁকুড়া শহর লাগোয়া হেভির মোড়ে দলীয় সভায় দিদির দূতদের তাড়ানোর কৌশল 'বাতলে' দেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক।
কী বললেন বিজেপি বিধায়ক ?
তিনি বলেন, ভূতকে কেউ সাধুবাবা দিয়ে ঝাঁটায়, কেউ গোবর, ঝাঁটা দিয়ে ঝাঁটায়। সেইভাবে আপনারা এলাকায় ঝাঁটিয়ে তুলবেন। ওই দিদির দূতরা এলে আগে তাদের ধরবেন কলারটা চেপে, দিয়ে বলবেন, আমরা ঘর পেলাম না কেন ?
এই প্রথম নয়, এর আগেও এ ধরনের মন্তব্য করেছেন, বিজেপি বিধায়ক। আগে তিনি বলেছিলেন, দরজায় দরজায় দিদির ভূত আসছে। আপনাদের বলছি, ঝাঁটা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন, ঝাঁটা নিয়ে।
বিজেপি বিধায়কের মন্তব্য নিয়ে ফের বিতর্ক শুরু হতে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল।
অমরনাথ শাখা বলেন, জনতার করের টাকায় যেভাবে বাংলাকে দেউলিয়া করে দিল, মমতার কাজের এইভাবে প্রতিবাদ করছি। গ্রামবাসী হিসেব নেবে, জানতে চাইবে কোথায় কত টাকা স্যাংশন হয়েছে, কাজ কী হয়েছে।
পাল্টা তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে উন্নয়ন করেছেন, বিজেপির তো বলার কিছু নেই। আবোল তাবোল কথা বলছে...পঞ্চায়েত ভোটে অমরনাথ শাখারা গ্রামে ঢুকতে পারবে না। গ্রামবাসী বিদায় করে দেবে।
সব মিলিয়ে দিদির দূতদের ঝাঁটা মারার বিধান দিয়ে ফের বিতর্কে ওন্দার বিজেপি বিধায়ক।
সম্প্রতি, দিনকয়েক আগে বাঁকুড়ার তালডাংরার গুন্নাথ গ্রামে দিদির দূত হিসেবে যান স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী। রাস্তা, পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে তৃণমূল বিধায়কের কাছে ক্ষোভ উগরে দেন বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন ; খারাপ রাস্তা, আর পানীয় জলের সমস্যা! বাঁকুড়া ও মুর্শিদাবাদে ক্ষোভের মুখে 'দিদির দূত'-রা