পূর্ণেন্দু সিংহ, ওন্দা: মূর্তি তৈরি করে দুর্গাপুজো হয় না। তাই সরস্বতীর পুজোতেই উৎসবের যাবতীয় আনন্দ পুষিয়ে নেওয়া হয়। নিয়ম মেনে বসন্ত পঞ্চমীতেই শুরু হয় বীণাপাণির আরাধনা। একটানা ন'দিন ধরে সরস্বতী পুজো চলে ওন্দার রতনপুর গ্রামে। আর এই ন'দিনেই উৎসবসব মুখর হয়ে ওঠে গোটা গ্রাম। অঞ্জলি দেওয়া, ঠাকুর দেখা, ভোগ খাওয়ায় শামিল হন গ্রামের বাসিন্দারা। (Ratanpur Saraswati Puja)
দুর্গাপুজো নয়, এই গ্রামের মূল উৎসব সরস্বতী পুজোই, ন'দিন ধরে চলে পুজো
বাঁকুড়া জেলার ওন্দার রতনপুর গ্রামে সরস্বতী পুজো ঘিরে বাড়তি উৎসাহ চোখে পড়ে প্রতিবছরই। এই গ্রামে মূর্তি তৈরি করে দুর্গাপুজোর চল নেই এমনিতে। তাই সরস্বতী পুজোতেই সব পুষিয়ে নেন গ্রামের বাসিন্দারা। রতনপুর গ্রামের দাস এবং বিশ্বাসপাড়ায় টানা ন'দিন ধরে চলে সরস্বতী পুজো। প্রতিমাতেও রয়েছে বৈচিত্রের ছোঁয়া। (Bankura News)
রতনপুর গ্রামের সরস্বতী শ্বেত-শুভ্রবসনা। এখানে দেবী একা আবির্ভূত হন না মর্ত্যে। একচালা প্রতিমার পাশে লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক এবং ভগবতীর সঙ্গে এক আসনে অধিষ্ঠিত দেবীমূর্তি। নিয়ম অনুযায়ী, বসন্ত পঞ্চমী থেকেই সরস্বতী পুজো শুরু হয়। এই পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, মহাপ্রভুকে ভোগ নিবেদন। সেই ভোগই নিবেদন করা হয় দেবীকে। ভোগের আরও একটি বৈশিষ্ট্য হল, তাতে পাকা কাঁঠাল থাকে। একেবারে গোড়া থেকেই এই রীতি চলে আসছে।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, গ্রামের মাঠে রয়েছেন দেবী অম্বিকা। ফলে মূর্তি তৈরী করে দুর্গা পূজার চল নেই তাঁদের মধ্যে। তাই গ্রামের সরস্বতী পুজোকে ঘিরেই যাবতীয় আবেগ, আনন্দ এবং উন্মাদনা। কর্মসূত্রে সারা বছর বাইরে থাকেন যাঁরা, সরস্বতী পুজোয় ছুটি নিয়ে সকলেই বাড়ি ফিরে আসেন। এই ন'দিন গ্রামে মেলাও বসে। সেখানে ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতির অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। সব মিলিয়ে বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম রাজ্যসড়কের ধারে অবস্থিত রতনপুরে এখন উৎসবের আমেজ।
মাঘ মাসের শুক্ল পঞ্চমীতে সরস্বতী পুজো, বাঙালির গরে ঘরে বাগদেবীর আরাধনা
আজ মাঘ মাসের শুক্ল পঞ্চমী৷ তার ওপর ভালবাসার দিন। এমন দিনে বাংলার ঘরে ঘরে বাগদেবীর আরাধনা। রাজ্য জুড়ে ফের উৎসবের আমেজ। বাসন্তী শাড়ি আর পাঞ্জাবিতে জমজমাট বাঙালির ভ্যালেন্টাইন্স ডে-ও৷ পরিবার পরিজনদের সঙ্গে মিলে এই দিনটিতে উৎসবে মেতে উঠেছেন রতনপুরের বাসিন্দারাও।