তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: ভুল করে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে দশক শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই কার্যত হুলস্থুল পরিস্থিতি বাঁকুড়ার স্কুলে। প্রধান শিক্ষিকার ঘরে ঢুকে চোর স্লোগান পরিচালন সমিতির সভাপতির অনুগামীদের (Bankura News)। পাল্টা অসহযোগিতার অভিযোগ প্রধান শিক্ষিকার। দুই জনের দ্বন্দ্বে আপাতত শিকেয় স্কুলের উন্নয়ন (Bankura School)। 


প্রধান শিক্ষিকার ঘরে ঢুকে চোর স্লোগান পরিচালন সমিতির সভাপতির অনুগামীদের



দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়,অনুব্রত মণ্ডলদের দেখে পথেঘাটে, আদালত চত্বরে চোর স্লোগান শোনা গিয়েছে অনেক বার। এ বার প্রধান শিক্ষিকাকে চোর স্লোগান। প্রধান শিক্ষিকার ঘরে ঢুকে চোর স্লোগান পরিচালন সমিতির সভাপতির অনুগামীদের। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের শিবদাস সেন্ট্রাল গার্লস হাইস্কুলে এই ঘটনা ঘটেছে।

স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। অভিযোগ, ভুল করে ওই ছাত্রীকে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ দেওয়া হয়েছে। সোশাল মিডিয়ায় এই নিয়ে পোস্টও করেন পরিচালন সমিতির সভাপতি অভিজিৎ সিংহ। বৃহস্পতিবার নিজের অনুগামীদের নিয়ে সোজা স্কুলে হাজির হন তিনি। 


আরও পড়ুন: CV Ananda Bose: পূর্বসূরি ধনকড়কে অনুসরণ! উচ্চশিক্ষায় নজরদারি রাজ্যপালের, আর্থিক লেনদেনে নিতে হবে অনুমোদন


যদিও দ্বন্দ্বের কথা মানতে নারাজ অভিজিৎ। তাঁর কথায়, "দ্বন্দ্বের কোনও ব্যাপার নেই। আমরা কোনও দ্বন্দ্ব তো কিছু দেখতে পেলাম না!" যদিও প্রধান শিক্ষিকা মধুমিতা কুণ্ডু পাল্টা অভিযোগ করেছেন যে, মিটিংয়ে যোগ দেন না পরিচালন সমিতির সভাপতি। নিজের মতো করে বানিয়ে ফেলেছেন রেজলিউশন খাতাও। তিনি বলেন, "১৫টি মিটিং ডেকেছি। মাত্র চারটিতে এসেছেন উনি। আলাদা করে রেজলিউশনের খাতা কিনেছেন। আলাদা স্ট্যাম্প করেছেন।"


দু'জনের দ্বন্দ্বে কার্যত শিকেয় স্কুলের উন্নয়নের কাজ


উল্লেখ্য, ১৫ মার্চ একটি অডিও ভাইরাল হয়, যেখানে টাকা দিয়ে প্রধান শিক্ষিকা দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার কথা বলেন বলে দাবি করা হয়। এর পর মাস ঘুরতে না ঘুরতেই ফের দানা বাধল বিতর্ক। দু'জনের দ্বন্দ্বে কার্যত শিকেয় স্কুলের উন্নয়নের কাজ।


এ দিকে, পূর্ব বর্ধমানে খোদ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠল শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ। কয়েক লক্ষ টাকা দিয়েও চাকরি মেলেনি, টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে মিলেছে হুমকি মেলে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ভিযোগকারী। অভিযুক্ত শিক্ষক স্কুলে আসছেন না বলে জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।