পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: রাজনীতি করতে এসে কুকথার ফোয়ারা ছোটানো নিয়ে একদিন আগেই সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, বাংলায় রাজনৈতিক উত্তাপ ততই বাড়ছে। আর তারই সঙ্গে কুকথার নিত্য-নতুন সংজ্ঞা তৈরি হচ্ছে। সেই আবহেই জ্বালাময়ী ভাষণ দিতে গিয়ে তৃণমূলকে (TMC) 'রাম ধোলাই' দিয়ে গ্রামছাড়া করার নিদান দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar)।
পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, বাংলায় রাজনৈতিক উত্তাপ ততই বাড়ছে
বাঁকুড়ার (Bankura News) সিমলাপাল ব্লকের কৃষ্ণপুর গ্রামে স্থানীয়দের নিয়ে একটি জমায়েেতে ভাষণ দিচ্ছিলেন সুভাষ। সেই সময়ই তৃণমূলকে মেরে তাড়ানোর কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। তিনি বলেন, "আগামী দিনের লড়াইয়ে, সব স্তরে আমাদের তৃণমূলকে পর্যুদস্ত করতে হবে। আমরা সংগঠিত থাকব। নানা রকম মিথ্যা কথা বলবে ওরা। মিথ্যা আগেও বলত, এখনও বলছে। সেই সবে বুলবেন না আপনারা। বরং মিথ্যা বললেই বরং তার যা শাস্তি দেওয়ার, উত্তম মধ্যম দেওয়ার, যা মনে হয় করুন। একেবারে ধোলাই দিয়ে গ্রাম থেকে বিদায় করুন। মিথ্যা বললে তার শাস্তি রাম ধোলাই। ঠিক আছে!"
আরও পড়ুন: NRS Hospital: সাতসকালে তেলের ট্যাঙ্ক ফেটে বিপত্তি, এনআরএস হাসপাতালে অল্পের জন্য রক্ষা কর্মীর
সোমবার সন্ধেয় সিমলাপালে ওই সভা করেন সুভাষ। সেখান থেকে আবাস যোজনায় (Awas Yojana) ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানো হোক বলে দাবি জানান তিনি।
সভার শেষে সুভাষ আরও বলেন, "প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় সাধারণ মানুষকে রেশনের চাল দেওয়া হচ্ছে। অথচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, তিনি চাল দিচ্ছেন। সমানে মিথ্যে কথা বলে চলেছেন উনি। গ্রামে গিয়ে এরকম মিথ্যে কথা কেউ বললে, তাঁকে উত্তম মধ্যম দিয়ে গ্রামছাড়া করার নিদান দিয়েছি।"
সোমবার সন্ধেয় সিমলাপালে ওই সভা করেন সুভাষ
সিবিআই তদন্তের দাবি জানানোর কারণ জানতে চাইলে সুভাষ বলেন, "আবাস দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। আবাস নিয়ে তৃণমূলে তৃণমূলে মারপিট চলছে। সাধারণ মানুষ গিয়ে হামলা চালাচ্ছেম পঞ্চায়েতে। মানুষ যে ভাবে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন, তাতে মানুষই চাইবেন যে সিবিআই তদন্ত হোক। আর মানুষ যা চাইবেন, আমরাও তা-ই চাইব। "