রঞ্জিত হালদার , দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বারুইপুর: প্রতিদিনই যেমনটা চলে, সপ্তাহের শুরুতেই তেমনই ছিল পরিস্থিতি। কিন্তু হঠাৎই সোমবার দুপুরে বারুইপুর BESCO কারখানার একটি ফার্নিশ ব্লাস্ট করে। সেই সময় সেখানে থাকা প্রায় ১৫ জন কর্মী কমবেশি আহত হয় বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিকের।
এঁদের মধ্যে চারজনের আঘাত গুরুতর। তাঁদের প্রত্যেকের শরীরের বেশিরভাগ অংশ ঝলসে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চারজনকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতায় স্থানান্তরিত করেছেন চিকিৎসকরা।
ইতিমধ্যেই বারুইপুর থানার পুলিশের কাছে খবর যাওয়ায় তারাও ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করেছে। প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি আধিকারিকদের বয়ান ও তারা নথিভূক্ত করেছে। গোটা ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছে BESCO কোম্পানির শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন, যে ভাইদের সঙ্গে বড় হওয়া, তাদের হাতেই খুন! পর্ণশ্রীকাণ্ডে অভিযুক্তদের কঠিন শাস্তি চায় পরিবার
অন্যদিকে, সিউড়িতে বীরভূম এক্সাইজ দফতরে হঠাৎ আগুন ধোঁয়ায় ভরে যায় গোটা অফিস। দেখা যায় দফতরের কনফারেন্স রুমের এসি থেকে ছড়িয়েছে আগুন। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় দমকলে। দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন আয়ত্তে আনে। দমকলের অফিসারদের প্রাথমিকভাবে অনুমান এসির শকসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। টানা প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এদিকে, শহরে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের জেরে নড়েচড়ে বসল দমকল দফতর। বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে ফায়ার অডিট করানোর সিদ্ধান্ত নিল তারা। গার্ডেনরিচের গোডাউনের আগুন এখনও পুরোপুরি নেভেনি। দমকলের ৫টি ইঞ্জিন এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার লড়াই চালাচ্ছে। শহরে পরপর দু’দিন, ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর নিমতলা ঘাট স্ট্রিট ও গার্ডেনরিচে, বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের পর নড়েচড়ে বসল দমকল দফতর। দমকল সূত্রে দবি, দুটি জায়গাতেই পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। ফায়ার লাইসেন্স বা অন্যান্য কাগজপত্র কোথাও মেলেনি।