অমিত জানা, দাঁতন: শবর হলেও নেই জাতিগত শংসাপত্র। তার ফলে মিলছে না সরকারি সুযোগ-সুবিধা। এমনই দাবি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের ১০০টি পরিবারের। সমস্যার জন্য প্রশাসনের একাংশকে দায়ী করেছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক। বিডিও জানিয়েছেন, ২২ তারিখ ক্যাম্প করে সব অভিযোগ শোনা হবে।
এঁরা সবাই শবর সম্প্রদায়ের। কিন্তু, হাতে নেই তার কোনও প্রামাণ্য নথি। ফলে যে কোনও সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত হচ্ছেন সকলে। এমনই দাবি করছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের ১০০টি পরিবার। দাঁতনের বাসিন্দা হরিশচন্দ্র পাত্র বলেন, আমার সন্তান, ভাইপোরা পাচ্ছে না, বারবার এনকোয়ারি হয়েছে, আশ্বাস পেলেও কাজ হয়নি।
আরও পড়ুন: East Midnapur: মাঝসমুদ্রে বিকল ট্রলারের ১১ মৎস্যজীবীকেই উদ্ধার করল হলদিয়া উপকুলরক্ষী বাহিনী
দাঁতন ব্লকের নিমপুর ও ষোলপাট্টা গ্রাম। এই দুই গ্রামে বসবাস করেন শবররা। তাঁদের অভিযোগ, কাস্ট সার্টিফিকেট পেতে রীতিমতো কালঘাম ছুটছে। প্রতি ক্ষেত্রে জেনারেল কাস্ট বা সাধারণ শ্রেণি হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে তাঁদের। আরেক বাসিন্দা সিন্টু বারিক বলেন, এদিকে, এই সমস্যার জন্য সরকারি আধিকারিকদের একাংশের গাফিলতিকেই দায়ী করছেন দাঁতনের তৃণমূল বিধায়ক।দাঁতনের তৃণমূল বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান অন্যদিকে, পরিস্থিতির জন্য শাসক দলকেই দায়ী করেছে গেরুয়া শিবির।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বিজেপি সহ সভাপতি অরূপ দাস এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের, মুখ্যমন্ত্রী শবরদের উন্নয়ন করেননি, তৃণমূলের ভোটার নয় তাই সমস্যা, তৃণমূল নেতাদের অনুমতি ছাড়া অফিসাররা কাজ করেন না। আদৌ কি সমস্যার সুরাহা হবে? হবে কবে হবে। তার দিকেই তাকিয়ে একশোটি পরিবার। দাঁতনের বিডিও জানিয়েছেন, গ্রামেই ক্যাম্প করে সব অভিযোগ শোনা হবে।বিডিও চিত্তজিৎ বসু বলেন, ২২ তারিখ ক্যাম্প করব, ওই গ্রামেই হবে, বক্তব্য শোনা হবে, তারপর ব্যবস্থা নেব।
আরও পড়ুন: North 24 Paraganas: ঘর থেকে উদ্ধার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের দেহ , আত্মহত্যা, অনুমান পুলিশের