কলকাতা: গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বুধবার গঙ্গাসাগরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তাঁর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক বিষয়ে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে ১০০ দিনের প্রকল্পের বিষয়ও।
কী বললেন মমতা?
মমতার অভিযোগ, ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজে বাংলাকে টাকা দেওয়া হচ্ছে না। তা সত্ত্বেও ৫০ লক্ষ কর্মদিবস তৈরি করেছি।'
১০০ দিনের প্রকল্পে বঞ্চনার অভিযোগে বারবার সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে টাকা না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। বিভিন্ন সভায় একই বক্তব্য শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রীর মুখে। এই বিষয়ে পথে নেমে প্রতিবাদও করেছেন তৃণমূল। এদিন ফের সেই বিষয় উঠে এলে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে।
আগেও সরব মমতা:
১০০ দিনের প্রকল্পের টাকার দাবিতে বারবার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। প্রধানমন্ত্রীর কাছেও এই দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার মাত্র ২ মাস আগে টাকা পাঠানো নিয়েও সরব হয়েছিলেন তিনি। একশো দিনের প্রকল্পে বরাদ্দের দাবিতে সংসদেও সরব হয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।
বিরোধী দলের নিশানা:
১০০ দিনের প্রকল্পের কাজ নিয়েও বারবার অভিযোগ জানিয়েছে বিরোধীরা। এই প্রকল্পে বহু দুর্নীতি হয়েছিল বলেও বিজেপির অভিযোগ। ভুয়ো জব কার্ড তৈরির অভিযোগও তোলা হয়েছিল। তা নিয়ে আদালতেও যায় বিজেপি। একশো দিনের কাজ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের রিপোর্ট তুলে সরব হয়েছিলেন তিনি।
কেন্দ্রের হাজিরা ফরমান:
১০০ দিনের প্রকল্প নিয়ে বারবার নানা অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে এই প্রকল্পে দুর্নীতি রুখতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। নতুন বছরে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ডিজিটাল হাজিরা। ১ জানুয়ারি থেকেই এই পদ্ধতি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে:
- ১ জানুয়ারি থেকে এই প্রকল্পে অ্যাপের মাধ্যমে হাজিরা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
- মাস্টার রোলে ২০ জন কিংবা তার বেশি কর্মীর নাম থাকলে মোবাইল অ্যাপে হাজিরা নেওয়া বাধ্যতামূলক। তার জন্য ব্যবহার করতে হবে National Mobile Monitoring System বা NMMS App।
- 'কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, যাঁরা ১০০ দিনের কাজ করবেন, তাঁদের ছবি তুলে আপলোড করতে হবে মোবাইল অ্যাপে।
- কাজের শুরুতে এবং কাজ শেষ হওয়ার পর- মোট দু'বার ছবি তুলতে হবে। জিওট্যাগিং থাকায় ছবিটি কোথায় এবং কখন উঠেছে, তা বোঝা যাবে।
আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলায় ১৪ দিনের জেল হেফাজত অনুব্রত মণ্ডলের, একই মেয়াদে জেল হেফাজত সায়গল হোসেনেরও