উত্তর ২৪ পরগনা: ফের কমিশনের আপলোড করা ২০০২-এর ভোটার তালিকায় গরমিলের অভিযোগ। বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভার সংগ্রামপুরের দু'টি বুথে ৩৪ জন ভোটারের নাম না থাকার অভিযোগ।
আরও পড়ুন, 'BLO তৃণমূলের দলের হয়ে মিছিলে যান, ফেসবুকে লাইভ করেন' ! নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের BJP-র
২০০২ সালে ভোটার তালিকা অনুযায়ী ভোট দিয়েছেন, দাবি নাম না থাকা ভোটারদের। কমিশনের আপলোড করা তালিকায় নাম বাদ যাওয়ায় আতঙ্কিত ভোটাররা। বসিরহাটের মহাকুমা শাসক এর কাছে অভিযোগ দায়ের ভোটারদের। কমিশনের আপলোড করা ২০০২ সালের তালিকায় ৮৫৮ জনের নাম, দাবি ভোটারদের। এলাকার বাসিন্দাদের কাছে থাকা কপিতে ৮৯২ জন ভোটারের নাম, দাবি ভোটারদের। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে, দাবি BLO-র।
প্রসঙ্গত, রাজ্য়ে SIR প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে, তখন বসিরহাট পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে মাথাচাড়া দেয় ভূতুড়ে ভোটার তরজা। এই নিয়ে ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ তুলে তৃণমূলকে আক্রমণ করে বিজেপি। পাল্টা উত্তর দেয় তৃণমূল। এলাকায় নেই, তবে ভোটার তালিকায় বহাল তবিয়তে রয়েছেন!একটা দুটো নয়, এরকম উদাহরণ ভুরি ভুরি। ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন বা SIR নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় চলছে,তখন উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে মাথাচাড়া দেয় ভূতুড়ে ভোটারের তরজা। একসময় বসিরহাট পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা ছিলেন। কিন্তু পরিবারের দাবি, বিয়ে হয়ে শ্বশুরবাড়ি চলে গেছেন এক যুগ আগে! ঠিকানা পরিবর্তন হলেও, ভোটার তালিকায় নামটা রয়ে গেছে!
পরিবারের দাবি, বারবার প্রশাসনকে বলা সত্ত্বেও ব্যবস্থা হয়নি। বসিরহাট বাসিন্দা অনিলকুমার দত্ত বলেন, ২০১৩ সালে আমার মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। ও কলকাতার লেবুতলা পার্কে। এখনও এখানে ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে। আমরা বারবার বলেছিলাম। ওখানে ওর ভোটার লিস্টে নাম তোলা হয়েছে। আমি চাইছি বসিরহাটের তালিকা থেকে ওর নাম কেটে যাক। ইনি দীপ মুখোপাধ্যায়। বসিরহাট পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা। তাঁর দাবি, ১০ বছর হয়ে গেল, পরিবারের দুই সদস্য কর্মসূত্রে অন্যত্র থাকেন। কিন্তু ভোটার তালিকায় এখনও তাঁদের নাম জ্বলজ্বল করছে!
২০০২ সালে ভোটার তালিকায় নাম থাকলেও নির্বাচন কমিশনের আপলোড করা তথ্যে নাম না থাকার অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। কেউ দাবি করছেন, দু'দশকেরও বেশি সময় ভোট দিয়েও, এখন ২০০২-এর ভোটার তালিকায় নাম খুঁজে পাচ্ছেন না। কারও অভিযোগ, উধাও হয়ে গেছে একটা বুথের গোটা তালিকাই, যাতে নাম ছিল ৮-৯ শো ভোটারের!উত্তর ২৪ পরগনা থেকে কোচবিহার, দিকে দিকে উঠছে একই ধরনের অভিযোগ। ভোটার তালিকায় এই অসঙ্গতি নিয়ে দুই জেলার ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসারের থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের পুরনো ওয়েবসাইটে ২০০২-এর ভোটার তালিকা দেখতে সমস্যা হওয়ায় চালু করা হয়েছে নতুন ওয়েবসাইট।