উত্তর ২৪ পরগনা: মৃত গৃহস্বামীকে নিজের বাবা দেখিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তোলার অভিযোগ। ভোটার তালিকায় নাম তোলার অভিযোগ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে। অভিযোগ উত্তর ২৪ পরগনার জেলা শাসকের দফতরে। অভিযুক্তর বাড়ি ভুরকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের সমুদ্রপুরে।
জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন হরিপদ সাউয়ের কন্যা। এই মর্মে লিখেছেন, 'অভিযুক্তর আসল নাম ভোলানাথ মণ্ডল। ভোটার তালিকায় তিনি নাম তুলেছেন ভোলানাথ সাউ হিসেবে। হরিপদ সাউ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে কেয়ারটেকারের কাজ করতেন ভোলানাথ। হরিপদ সাউয়ের মৃত্যু হয়েছে। নিজেকে মৃত হরিপদর পালিত পুত্র হিসেবে দাবি করে ভোলানাথ। জাল নথি দিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তুলেছে ভোলানাথ। হরিপদর ছেলে হিসেবে ভোটার তালিকায় নাম তোলে'। হরিপদ সাউ তাঁকে পালিত পুত্রর স্বীকৃতি দিয়েছিলেন, দাবি অভিযুক্তর।
পশ্চিমবঙ্গের বৈধ নাগরিক না হয়েও কারা এখানে ভোট দিচ্ছে? মৃত্য়ুর পরও কাদের নামে ভোট পড়ছে? সেই ঝাড়াই বাছাই করতেই শুরু হয়েছে SIR অর্থাৎ ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ২৪ নভেম্বর অবধি এরাজ্যে ১০ লক্ষ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। তার মধ্যে মৃত ভোটারের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ। অর্থাৎ মৃত্য়ুর পরও এত লোকের নাম ভোটার তালিকায় ছিল। এদের অনেকের নামে নিশ্চয়ই ভোটও পড়ত! কিনতু, তাতে লাভবান হত কারা? এই প্রশ্ন যখন অনেকের মনেই উঠছে, তখন বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে উঠল মৃত ভোটারের প্রসঙ্গ।
তালিকা থেকে মৃত ভোটারের নাম বাদ দেওয়াও নির্বাচন কমিশনের কাজের মধ্যে পড়ে বলে জানিয়ে দিল সর্বোচ্চ আদালত। SIR-এর বৈধতা নিয়ে একাধিক মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে। বুধবারের শুনানিতে মৃত ভোটার প্রসঙ্গে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী বলেছিলেন,সবটাই রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। যে রাজনৈতিক দল অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী, তারা মৃত ভোটারের ভোটগুলি দখল করে ভোট দিয়ে দেয়। সেই কারণেই তালিকা থেকে মৃত ভোটারের নামগুলি বাদ দিয়ে দেওয়া দরকার।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, প্রত্যেক নির্বাচনী ক্ষেত্রের ভোটার তালিকায় এমন বহু সংখ্যক নাম রয়েছে যারা ইতিমধ্যেই মারা গেছেন। নির্বাচন কমিশনকে সেই নামগুলো বাদ দিতে হবে। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, নির্বাচন কমিশনের SIR করার অধিকার আছে কি না, সেটা মামলাকারীরা প্রমাণ করুন।