সুনীত হালদার, হাওড়া: রানাঘাটের পর হাওড়া,  ফের জীবিতকে 'মৃত' বানানোর অভিযোগ। ২০২৫-এর ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় বিপাকে শিবপুরের বৃদ্ধা। ৬৮ বছর বয়সি বৃদ্ধার নাম নেই ২০২৫-এর ভোটার তালিকায়। ২০০২ সালে ভোট দিয়েছেন, দাবি বৃদ্ধা শ্যামলী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নতুন করে নাম তুলতে হবে, জানিয়েছেন হাওড়ার ২৯৯ নম্বর বুথের BLO. নাম তোলার জন্য ফর্ম দিয়েছেন, ডিসেম্বরে সংগ্রহ করা হবে, জানিয়েছেন BLO.

Continues below advertisement

আর পড়ুন, শ্বশুরকে বাবা বানিয়ে ভুয়ো ভোটার কার্ড ! 'বাংলাদেশি নয় জামাই, পাতানো ছেলে..'

Continues below advertisement

প্রশ্ন : ভোটার তালিকায় এবার জীবিত ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণার অভিযোগ, ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ। ..আপনি ২০০২ সালে কি ভোট দিয়েছিলেন ? এই যে শেষ যে নির্বাচন তালিকা রয়েছে, ( হাতে ভোটার তালিকায় নাম দেখিয়ে), এটা আপনিই তো ?

শিবপুরের বৃদ্ধা শ্যামলী বন্দ্যোপাধ্যায় :  হ্যাঁ। 

প্রশ্ন :   কিন্তু এখানে নামের উপর দিয়ে লেখা আছে, ডিলিটেড। অর্থাৎ নাম বাদ গেছে, অর্থাৎ মৃত..

শিবপুরের বৃদ্ধা শ্যামলী বন্দ্যোপাধ্যায় :  কিন্তু আমি তো মৃত নই। আমি তো জীবিত। আমাকে কে মৃত করল আমি তো বুঝতে পারছি না !

২ সপ্তাহ আগে মধ্য হাওড়া বিধানসভা কেন্দ্রের ২৯৯ পাটের BLO রমেশ সাউ বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে ছয় নম্বর ফর্ম দিয়ে আসেন। তিনি জানিয়েছেন,ডিসেম্বর মাসে বৃদ্ধার বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা হবে ছয় নম্বর ফর্ম। সবকিছু ভোটারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। অসহায়, অসুস্থ মানুষ। উঠে দাঁড়াতেও কারও সাহায্য প্রয়োজন হয়। এই বয়সে এসে একাকী বৃদ্ধার এমন অসহায় অবস্থার কথা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। হাওড়া পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর  অরুণ রায়চৌধুরী বলেন , কোনও একটি দল বাড়ি বাড়ি স্ক্রুটিনি করছে, যাঁরা চলতে, ফিরতে পারছেন না,অথর্ব, কেউ দেখার নেই, তাঁদের নামগুলো কেটে দাও, তাঁরা নড়াচড়া করতে পারবেন না, ভোটার লিস্ট থেকে নামও বাদ চলে যাবে, জীবিত লোককে মৃত দেখানোর পরিকল্পনা করে কোনও একটি দল চলছে। 

বিজেপি রাজ্য সম্পাদক  উমেশ রাই বলেন, SIR চালু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন নানা রকম মিথ্যে অভিযোগ করছে তৃণমূল। যতই মিথ্যে অভিযোগ করুক, SIR ১০০ শতাংশ হবেই। শ্যামলীদেবীর নাম আবার ভোটার তালিকায় উঠে যাবে।জীবিত ভোটারের মৃত হয়ে যাওয়ার এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার রানাঘাটেও। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গঙ্গাবালা কর্মকার অভিযোগ করেছেন, ২০০২ সাল থেকে নিয়মিত ভোট দিলেও সদ্য কমিশনের প্রকাশিত ভোটার তালিকায় ডিলিটেড বিভাগে রয়েছেন তিনি। বাড়ির সবার নামে এনুমারেশন ফর্ম এলেও তাঁর নামে কোনও ফর্ম আসেনি। এবার একই অভিযোগ উঠল হাওড়ার শিবপুরে।