কলকাতা : তিনদিনের মাথায় ভবানীপুরে (Bhowanipore) গুজরাতি দম্পতিকে (Gujrati Couple) খুনের কিনারা করল পুলিশ। গ্রেফতার ৩। ধৃতদের ১৪দিনের পুলিশ হেফাজত। এখনও অধরা খুনের মাস্টারমাইন্ড (Mastermind of Murder)। পুলিশের দাবি, ধারের টাকা ফেরত চাওয়াতেই ব্যবসায়ী দম্পতিকে খুন। গোটা পরিকল্পনার মাস্টারমাইন্ড নিহতের মেজো জামাইয়ের দূর সম্পর্কের আত্মীয়।
কী বলছেন পুলিশ কমিশনার ?
পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানিয়েছেন, শাহ দম্পতিকে খুনের ছক পূর্ব পরিকল্পিত। খুনের দিন মেজো জামাইয়ের ওই আত্মীয়কে দেখেই দরজা খোলেন শাহ দম্পতি। মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গেই বাড়িতে ঢোকে ভাড়াটে খুনিরা। টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে বচসার জেরে প্রথমে অশোক শা-কে তারা কোপাতে শুরু করে। এরপর ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে মাথায় গুলি করে খুন করা হয়।
আরও খবর ; "খুব মর্মাহত, এই রাস্তা দিয়ে রোজ যাতায়াত করি", ভবানীপুরে দম্পতি খুনে প্রতিক্রিয়া মমতার
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত সুবোধ সিং, যতীন মেহতা ও রত্নাকর নাথ খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। ধৃত তিনজনই হাওড়ার লিলুয়ার বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে খবর, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখার পর নিশ্চিত হয় পুলিশ। গতকাল লালবাজারে এনে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর বয়ানে অসঙ্গতি মেলায় ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের জেরা করে তৃতীয় ব্যক্তির হদিশ পায় পুলিশ।
গতকালই ভবানীপুরে (Bhowanipore) নিহত দম্পতির বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী। কথা বললেন শাহ দম্পতির দুই মেয়ের সঙ্গে। মমতার সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন দুই মেয়ে।
পরে মমতা বলেন, "আমি খুব বিস্মিত। শুধু আমি নই, হরিশ মুখার্জি রোড, কালীঘাট রোড, আমাদের পাড়ার সকলে...কারণ এই রাস্তা দিয়ে আমরা রোজ যাতায়াত করি। আমি চাই, এলাকাটা শান্ত ছিল, শান্তই থাকবে, আর যারা বাইরে থেকে এসে এসব বদমায়েশি করার চেষ্টা করছে, তাদের কোনওভাবে তা করতে দেওয়া হবে না। তাদের সঙ্গে যাদের যোগাযোগ আছে, তাদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।"