কলকাতা : "আমি খুব মর্মাহত, এই রাস্তা দিয়ে রোজ যাতায়াত করি। আগে কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি।"  ভবানীপুরে দম্পতি খুনের ঘটনায় মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। আজ ভবানীপুরে (Bhowanipore) নিহত দম্পতির বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী। কথা বললেন শাহ দম্পতির দুই মেয়ের সঙ্গে। মমতার সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন দুই মেয়ে। 


পরে মমতা বলেন, "আমি খুব বিস্মিত। শুধু আমি নই, হরিশ মুখার্জি রোড, কালীঘাট রোড, আমাদের পাড়ার সকলে...কারণ এই রাস্তা দিয়ে আমরা রোজ যাতায়াত করি। আমি চাই, এলাকাটা শান্ত ছিল, শান্তই থাকবে, আর যারা বাইরে থেকে এসে এসব বদমায়েশি করার চেষ্টা করছে, তাদের কোনওভাবে তা করতে দেওয়া হবে না। তাদের সঙ্গে যাদের যোগাযোগ আছে, তাদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। সবটাই যখন চিহ্নিত করতে পেরেছে, ৯৯ শতাংশ, আশা করি ওরা পেয়ে যাবে। পরিচিত কেউ ছাড়া এমন ঘটনা ঘটানো যায় না। সব ধর্মের মানুষ ভবানীপুরে একসঙ্গে থাকেন। ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে খুন। খুনের পিছনে আত্মীয়র হাত থাকতে পারে। "


আরও পড়ুন ; মমতা-অভিষেকের বাড়ি, হাই সিকিওরিটি জোন, তার মধ্যেও খুন! ভবানীপুর নিয়ে ঝাঁঝ বাড়াচ্ছেন বিরোধীরাও


ভবনীপুরের মতো এলাকায় গুজরাতি দম্পতিকে গুলি করে কুপিয়ে খুনের ঘটনার পর দু’দিন পেরিয়ে গেলেও, এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। কী কারণে এই খুন ? সেই বিষয়েও এখনও পুলিশ কিছু জানায়নি। অন্যদিকে, ঘটনার দেড়দিন পর হদিশ মিলেছে অশোক শার মোবাইল ফোনের। ধর্মতলায় ম্যানহোলের পাশে জঞ্জালের স্তূপ থেকে উদ্ধার হয়েছে সেটি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে তার কললিস্ট। এই পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র লুঠের উদ্দেশ্য নয়, পুরনো আক্রোশ থেকেও খুন হতে পারেন ভবানীপুরে গুজরাতি দম্পতি, এমনই অনুমান করা হচ্ছে। ব্যবসায়িক শত্রুতা নাকি অন্য কিছু ? তা নিয়ে উত্তর খুঁজছে পুলিশও।


প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে মেরেকেটে সাড়ে চারশো থেকে পাঁচশো মিটার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বাড়ি থেকে প্রায় সাড়ে তিনশো মিটার। আর সেখানেই নিজের ফ্ল্যাটের মধ্যেই খুন হয়েছেন গুজরাতি দম্পতি। আর এনিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও।