রঞ্জিত সাউ, বিধাননগর: বিধান নগর প্রশাসনিক ভবনে মনোনয়ন জমা দিতে এলেন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত। তাঁর প্রস্তাবক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিধাননগর পৌরনিগম ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন পৌর পিতা সুবীর সাহা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কমল গাঁধী। বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে ছিলেন সব্যসাচী দত্ত। কিন্তু বিধানসভা ভোটের পদ্ম শিবিরের এই রাজ্যে ভরাডুবির পরই দল বদলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। 


এদিকে, রাজ্যের অন্য প্রান্তে বীরভূমে (Birbhum) বিজেপি (BJP)তে ফের ভাঙন। এবার তৃণমূলে (TMC) যোগ দিলেন বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায়। পরপর দুই নেতার দলত্যাগে অস্বস্তিতে পদ্ম শিবির। উন্নয়নে সামিল হতেই এমন সিদ্ধান্ত, দাবি দলত্যাগী নেতার। পাল্টা জবাব দিয়েছে গেরুয়া ব্রিগেড।


২০২১-এর শেষের দিকে বিজেপি ছেড়েছিলেন বীরভূম জেলার সাধারণ সম্পাদক শুভ্রাংশু চৌধুরী। আর নতুন বছর শুরু হতে না হতেই, ফের ভাঙন ধরল পদ্ম শিবিরে।এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায়। রবিবার তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরে শিবির বদলালেন তিনি।


তৃণমূলে যোগদানকারী বিজেপি নেতা অতনু চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, এলাকার মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে, এলাকার উন্নয়নের জন্য তাঁর এই সিদ্ধান্ত। এই লক্ষ্যেই তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।


বিজেপিতে নতুন কমিটি গঠিত হওয়ার পর গত ২৬শে ডিসেম্বর, সরব হন অতনু। ক্ষোভ উগরে দেন নিজের ফেসবুক পোস্টে। এরপর থেকেই শুরু হয় জল্পনা। জেলার রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন তৈরি হয় তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা।সেই জল্পনা সত্যি করে এদিন দল বদলালেন তিনি। আর এই প্রসঙ্গেই বিজেপির উদ্দেশে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেছেন, রাজনৈতিক অভিসন্ধির জন্যই তৃণমূল গেছেন। আমাদের দুর্ভাগ্য কাকের গায়ে ময়ূরের পালক লাগিয়েছিলাম, কাক কাকই থাকে।


আরও পড়ুন: আজই কলকাতা পুরসভায় কনটেনমেন্ট জোনের ঘোষণা ! কোথায় ?