কেষ্টপুর (কলকাতা): বিধাননগর পুরভোটে (Bidhannagar Municipality Vote) ২২ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস (Congress) প্রার্থীদের প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল কেষ্টপুর মাঝেরপাড়া। ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থীর অভিযোগ, প্রচারে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি, তাঁর ফেস্টুন, ব্যানার ছিঁড়ে দেয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। কেটে দেওয়া হয় মাইকের তার। ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থীর মা ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন। অভিযোগ, ওই মহিলা প্রার্থীকে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয় তৃণমূল কর্মীরা। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এলাকায় কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্বই নেই। সব অভিযোগই ভিত্তিহীন।


উল্লেখ্য এর আগে বিধাননগর পুরভোটের প্রচারে দিলীপ ঘোষকে বাধা দেয় পুলিশ। এদিন ৩২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের দুই বিজেপি (BJP) প্রার্থী পিয়ালি বসু ও মলি পালের প্রচারে যান বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির মিছিল EE ব্লকে ঢুকলে তা আটকে দেয় বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ।  নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে মিছিল আটকানো হয়, দাবি পুলিশের।


আরও পড়ুন: Malda: মালদায় মাদক অভিযান পুলিশের, দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু যুবকের


অভিযোগ, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী মলি পালের হয়ে প্রচারের সময় দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) বাধা দেয় পুলিশ। পাঁচজনের বেশি সমর্থক নিয়ে প্রচার করায় বাধা, দাবি বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশের। বাধা পেয়ে ফিরে যান দিলীপ ঘোষ। 'তৃণমূল মিছিল করলে আটকানো হয় না।' পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনেন দিলীপ ঘোষ।


এই ঘটনায় দিলীপ ঘোষকেই কটাক্ষ করেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ' কেউ বাধা দিচ্ছে না'।  তিনি আরও বলেন, বিজেপির পক্ষে আখন লোক জোগাড় করাই সমস্যা হচ্ছে। ভিন রাজ্য থেকে লোক আনতে পারছে না তারা। সেই সঙ্গে বুধবারের মতোই বৃহস্পতিবারও ফিরহাদ (Firhad Hakim) মনে করান, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের করে দেওয়া বিধি সকলকেই মেনে চলতে হবে, সব দলকেই। করোনা বিধি মেনেই প্রচার করতে হবে।