ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) মুখে বীরভূমের (Birbhum) বিতর্কিত ৪ তৃণমূল (TMC) নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত। ওই নেতাদের বিরুদ্ধে দলে অভিযোগ জমা পড়ার কথা স্বীকার মন্ত্রীর। ওই চারজনই অনুব্রত ঘনিষ্ঠ, তাই জেলার রাজনীতি থেকে ছেঁটে ফেলার চেষ্টা, কটাক্ষ বিরোধীদের।                                               

  


লালমাটির জেলায় পঞ্চায়েতের যুদ্ধে জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলেই আস্থা রেখেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বীরভূমের জেলা সভাপতি পদেই বহাল রাখা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ৪ ব্লক সভাপতিকে স্বজন পোষণ-সহ বিভিন্ন অভিযোগে পদ থেকে সরানোর ইঙ্গিত দিল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।                                               


ময়ূরেশ্বর ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি ও বিধায়ক অভিজিৎ রায়, নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি বিভাস অধিকারী, দুবরাজপুরের ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্র, রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি, ৪ ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ বলে সূত্রের খবর। সংগঠনের কাজে ঠিক মতো পরিচালনা না করার অভিযোগ, এমনটাই খবর সূত্রের। ৪ ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধেই ঘনিষ্ঠদের দলীয় বিভিন্ন পদে বসানোর অভিযোগ। বোলপুরের মন্ত্রী ও তৃণমূল বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, "৪ তৃণমূল ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে। লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে। সেটা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হবে। তারা ব্যবস্থা নেবে।"                             


আরও পড়ুন, দুয়ারে রেশন প্রকল্পে সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি রাজ্য সরকারের! হাইকোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ


যদিও এই বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করেছেন। তৃণমূলের অন্দরেই চক্রান্ত, এমনটাই মন্তব্য বিরোধীদের। বীরভূমের সিপিএম-এর জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, "তৃণমূলের ভিতরে চক্রান্ত। অভিষেক চাইছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের সরাতে।" বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, "বড় চোর অনুব্রত জেলে। তাই ছোট চোরদের তাড়াতে চাইছে। এটা কোন্দলের ফল।" 


জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলকে, বীরভূমের জেলা সভাপতি পদে রেখে দেওয়ায় তৃণমূলের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। এই প্রেক্ষাপটে দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতেই কি তাঁর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত চার ব্লক সভাপতিকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? উঠছে প্রশ্ন।