বীরভূম: জাল নথি-চক্রের পর্দাফাঁস, রাজ্য পুলিশের STF-র হাতে  গ্রেফতার ২জন। বীরভূম থেকে ২ অভিযুক্ত শেখ মিরাজ হোসেন, আব্দুল কুদ্দুস গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে প্রচুর ভুয়ো সরকারি নথি, ডিজিটাল সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।প্রতারণার উদ্দেশ্যেই ভুয়ো সরকারি নথি তৈরির চক্র তৈরি হয়, বলে সন্দেহ পুলিশের।

আরও পড়ুন, দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় আমন্ত্রণ পেলেন দিলীপ ঘোষ

ভোটার কার্ড থেকে আধার কিংবা রেশন কার্ড। জাল নথির এখন ছড়াছড়ি!নিত্য়দিন জাল নথি-চক্রের পর্দাফাঁস হচ্ছে!এমনকি জাল নথি দিয়ে আসল ভোটার কার্ড তৈরি হচ্ছে, তাও আবার পৌঁছে যাচ্ছে জঙ্গিদের হাতে! এ রাজ্য়ে এমন নজিরও আছে!বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ!সেই নিউটন দাসেরই সম্প্রতি নাম পাওয়া যায় ভারতের ভোটার তালিকায়। জানা যায় নিউটন দাস বাংলাদেশ ও কাকদ্বীপ দু-জায়গারই ভোটার। 

চলতি বছরেই পাসপোর্ট জালিয়াতির মামলায় সম্প্রতি গ্রেফতার হন আজাদ মল্লিক নামে পাকিস্তানের এক নাগরিক। তাঁকে নিয়ে তদন্তে নেমে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে চাঞ্চল্য়কর তথ্য় উঠে আসে। আদালতে দাঁড়িয়ে ইডি দাবি করেছিল, এরাজ্যে আজাদের ২টি ভোটার কার্ড রয়েছে। একটি নৈহাটি, আরেকটি মধ্যমগ্রামের ঠিকানায়। এর আগে গত বছরের শেষে কেরল থেকে গ্রেফতার হয় । 'আনসারুল্লা বাংলা টিমে'র জঙ্গি শাদ রাডি। তদন্তে জানা যায়, প্রায় বছর দশেক ধরে এরাজ্য়ের মুর্শিদাবাদে থাকত সে। এমনকী ভোটার কার্ড অবধি বানিয়ে ফেলেছিল! তা-ও আবার একটা নয়। দু-দু'টো! নওদা ও হরিহরপাড়া--- মুর্শিদাবাদের এই দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটার তালিকাতেই তার নাম ছিল। সেই ভোটার কার্ডের ভিত্তিতে পাসপোর্ট অবধি বানিয়ে ফেলেছিল সে। চলতি বছরের শেষে সেলিম মাতব্বর নামে এক বাংলাদেশি নাগরিককে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়! তাঁর কাছ থেকে ভারতের ভুয়ো পাসপোর্ট,নদিয়া ও দিল্লির ঠিকানা দেওয়া দু-দুটো জাল আধার কার্ড উদ্ধার হয়! 

কর্ণাটকের চিত্রদূর্গ থেকে ৬ জন বাংলাদেশের নাগরিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্রের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানান, বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে ভারতে ঢোকে তারা। তারপর কলকাতা থেকে জাল পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে। সেখান থেকে কর্ণাটকে পৌঁছন। বিরোধীদের কটাক্ষে পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। অতীতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকে শক্তিশালী জঙ্গি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিল জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি, আনসারুল্লা বাংলা-র মতো জঙ্গি সংগঠন। ২০১৪ সালে তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ড।