রামপুরহাট: জীবন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে মারা অভিযোগ আট জনকে (Rampurhat Fire)। সেই নৃশংসতার হাত থেকে রেহাই পায়নি শিশুরা। তা নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দিকে তাকিয়ে নিহতদের পরিবার। বৃহস্পতিবার সেখানে যাচ্ছেন মমতা। তাঁর কাছ ন্যায্য বিচারের আশা করছেন তাঁরা। অন্যথায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানাবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার রামপুটহাটের বগটুই যাচ্ছেন মমতা। আবার এই দিনই সেখানে পৌঁছচ্ছেন বিজেপি-র (BJP) কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের একটি দল। তা নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন যখন তুঙ্গে, সেই সময় সোমবার রাতে অগ্নিকাণ্ডে স্বজন হারানো, এলাকার বাসিন্দা মিহিলাল শেখ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাদের কাছে এলে ইনসাফ চাইব। তিনি ইনসাফ না দিলে তদন্তে সিবিআই তদন্ত চাই আমরা।”
অন্য দিকে, রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বাড়িতে আগুন ও হত্যাকাণ্ডে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম শেখ মফিজুল। এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১। ঘটনার ফরেন্সিক রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে সিট। খুনের দিন তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ কাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, সম্প্রতি তিনি কোনও ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন কি না, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
তবে এক রাতে পর পর দুই ঘটনায় বালি এবং পাথর খাদানের বখরা ভাগাভাগি নিয়ে বিবাদের কথাও সামনে এসেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বালি-পাথরের লরি থেকে ডাক মাস্টারের নাম করে তোলাবাজি চলত। উপ প্রধান ভাদু শেখের হয়ে এই কাজ করতেন সোনা, পলাশ এবং নিউটনে শেখের মতো স্থানীয় যুবকরা। এখন তাঁরাই ভাদু শেখের খুনে অভিযুক্ত।
বীরভূমের বিভিন্ন বালি এবং পাথর খাদান থেকে লরি বিভিন্ন জায়গায় যায়। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের তরফে সেই লরি থেকে কর নেওয়া হয়। কিন্তু, অভিযোগ বিএলএলআরও দফতরের পাশাপাশি, ওভারলোডেড বালি এবং পাথরের লরি প্রতি আরও ১০০ টাকা করে নেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু, এই টাকা কারা নিচ্ছেন? কোনও উত্তর নেই ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের তরফের কর্মীদের কাছে।