কলকাতা : রামপুরহাট কাণ্ডে (rampurhat violence) তোলপাড়ের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাচ্ছে বঙ্গ-বিজেপি (BJP)। বুধবার সকাল সাড়ে আটটায় নিজের বাসভবনে বঙ্গ বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (narendra modi)। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (sukanta majumdar)। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যাবেন বঙ্গ বিজেপির ১৭জন সাংসদ। বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ জানাবেন বিজেপি সাংসদরা (BJP MP)। বাংলায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চেয়ে ফের সওয়াল বিজেপির (BJP)। এদিকে,  এদিনই দিল্লি গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল (governor) জগদীপ ধনকড় (jagdeep dhankar)।


সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'রাজ্যের বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা এই মুহূর্তে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর আয়ত্ত্বের বাইরে চলে গিয়েছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব ভারতীয় সংবিধানের যে ধারা উপযুক্ত হবে সেই ধারায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের জন্য।' বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, 'গত ৭-১০ দিনে রাজ্যে অনেকে খুন হয়েছেন। অনেক মহিলা ধর্ষিতা হয়েছেন।' এধিনই রামপুরহাট (Rampurhat) হত্যাকাণ্ড নিয়ে এবার ফের রাজ্য সরকার এবং রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দিকেই নিশানা করলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি সাফ বলেন, ‘মারা গেছে তৃণমূলের উপপ্রধান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ছিল পুলিশ’। 


আরও পড়ুন- "ভোটের সময় ভাল পায়ে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে আপনি লেংচে লেংচে গোটা রাজ্য ঘুরেছেন", মমতাকে জবাব শুভেন্দুর


পাশাপাশি বিধানসভায় ধুন্ধুমার প্রসঙ্গেও রাজ্য সরকার ও তৃণমূলকে নিশানা করেছেন সুকান্ত মজুমদার। বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতন মনোজ টিগ্গার কলার বোনের হাড় ভেঙে গিয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। এদিন রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিধানসভায় রক্তারক্তি বাঁধে। অধিবেশন কক্ষেই তৃণমূল-বিজেপি বিধায়কদের হাতাহাতিতে জড়ান। নাক ফাটে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের। তিনি এসএসকেএমে ভর্তি। পাল্টা হামলার অভিযোগ বিজেপির। অ্যাপোলো হাসপাতালে যান বিজেপির ৫ বিধায়ক। অশান্তির বাঁধানোর অভিযোগে সাসপেন্ড শুভেন্দু অধিকারী-সহ ৫ বিজেপি বিধায়ক। সাসপেন্ড বিরোধী দলনেতা-সহ মনোজ টিগ্গা, শঙ্কর ঘোষ, দীপক বর্মন, নরহরি মাহাতো। প্রথমে হামলা চালায় সাদা পোশাকে পুলিশ, নিরাপত্তারক্ষীরা। চন্দনা বাউড়ি, তাপসী মণ্ডলকেও মেরেছে তৃণমূল।  অভিযোগ শুভেন্দুর। প্ররোচনা দিয়েছেন শুভেন্দুই, পরিকল্পনা করে বিধানসভায় অশান্তি, পাল্টা দাবি তৃণমূলের।