ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: তৃণমূল (TMC) পরিচালিত সিউড়ি পুরসভার (Suri Municipality) চেয়ারম্যান (Chairman) ও ভাইস চেয়ারম্যানকে (Vice Chairman) সরানোর দাবি জানিয়ে ১৩ জন তৃণমূল কাউন্সিলর চিঠি দিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ককে। অভিযোগ, সিউড়ি পুরসভা এলাকার পরিষেবা তলানিতে ঠেকেছে । এমন অবস্থায় চব্বিশের সাধারণ নির্বাচনে ভোট চাওয়া অসম্ভব বলে দাবি তাঁদের।
কী দাবি?
চিঠিতে ১৩ জন তৃণমূল কাউন্সিলরের বক্তব্য, সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান অঞ্জন কর ও ভাইস চেয়ারম্যান বিদ্যাসাগর সাউয়ের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাই নতুন পুর-চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে।
প্রেক্ষাপট...
সিউড়ি পুরসভার ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে সব কটিই বর্তমানে তৃণমূলের দখলে। তার মধ্যে ১৩ জন কাউন্সিলর চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের পরিবর্তন চেয়েছেন এই চিঠিতে। এবার তাই অনাস্থা আনার সিঁদুরে মেঘ দেখছে রাজনৈতিক মহল। বীরভূম তৃণমূলের কোর কমিটির কাছে কাউন্সিলরদের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সিউড়ি পুর এলাকায় গত তিন বছরে হয়নি । এমনকী চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের কারণে কাউন্সিলরদের মধ্যে সমন্বয়েও সমস্যা হচ্ছে, বলা হয় চিঠিতে। তাতে আরও উল্লেখ করা হয়েছিল, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের ব্যবহারের কারণে নিজেদের মধ্যে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তাই সামনে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে সরানোর আর্জি জানানো হয়েছে। এই চিঠিতে তাঁরা তাদের বেশ কয়েকটি দাবিরও উল্লেখ করেন। সেই দাবিগুলির মধ্যে ভোটের আগে উপযুক্ত সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচন গুরুত্ব পেয়েছে। পরবর্তী দাবি হিসেবে অ্যাডেড এরিয়ার সার্বিক উন্নয়নের কথাও কাউন্সিলররা চিঠিতে উল্লেখ করেন। এছাড়াও জলবণ্টন ব্যবস্থার সুষ্ঠ রূপায়ণ ও কাউন্সিলরদের মধ্যে সমন্বয়ের ব্যবস্থা করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে সিউড়ি পুরসভার এই বিষয় নিয়ে রবিবার বোলপুরে তৃণমূল জেলা পার্টি অফিসে ডাকা কোর কমিটি এবং জেল কমিটির বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পরে ঠিক হয়, আগামী ৩০ মে সিউড়ি তৃণমূল পার্টি অফিসে সিউড়ি পুরসভার ২১ জন কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী এবং বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান-সহ বিদ্রোহী ১৩ জন কাউন্সিলারদের বক্তব্য শুনে পুরো বিষয়টি ফিরহাদ হাকিম জানানো হবে। প্রসঙ্গত, গত কালই দুবরাজপুরের ব্লক তৃণমূল সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ভোলা মিত্রকে।